পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯৭ ] রিাচরিত্র সেই আদর্শেই লিখিত হইয়াছিল । আমরা পরে সে বিষয়ের আলোচনা করিব । ফারসী, আরবী শব্দ প্রয়োগ ব্যতীত রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্রে অনেক সংস্কৃত বা বাঙ্গল শব্দ নুতন নূতন অর্থে প্রয়োগ করা হইয়াছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ দুই চারিটির উল্লেখ করা যাইতেছে। ‘নিরাকরণ শব্দ আমরা এক স্থলে সিদ্ধান্ত অর্থে ও আর এক স্থলে নিবৃত্তি অর্থে দেখিতে পাই। পদাৰ্পন’ শব্দে নিযুক্ত ‘অম্লান শব্দে পরিষ্কৃত, ‘প্রত্যক্ষ শব্দে পালন, ‘প্রতুল' শব্দে মঙ্গল, রঞ্জিত’ শব্দে উপস্থিত ইত্যাদি দৃষ্ট হইয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত আচাৰক, পরখাই’, ‘পসিও’, ‘বাহুড়িলেন প্রভৃতি গ্রাম্য শব্দেরও প্রয়োগ আছে। ফলত: তৎকালীন সাধারণ বঙ্গভাষাকে যথাসাধ্য সংস্কৃত করিয়া বসুমহাশয় স্বীয় গ্রন্থের উপাদানে প্রয়োগ করিয়াছিলেন। যে ভাষায় সে সময়ে কোন আদর্শ গ্রন্থ ছিল না, আপনার চেষ্টায় নূতন গ্রন্থ রচনা করিতে হইয়াছিল, সে সময়ে সাধারণ ভাষাকে অবলম্বন ব্যতীত অন্য কি উপায় থাকিতে পারে ? বহুমহাশয় সেই ভাষা অবলম্বন করিয়া তাঙ্গকে যে গ্রন্থের উপযোগী করিয়াছিলেন, ইহা অল্প প্রশংসার কথা নহে। রাজা বামমোহন রায়ের পূৰ্ব্বেই তিনি কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, রাজা রামমোহন রায় বাঙ্গলা গদ্যের শ্রষ্ট হইলেও রামরাম বসুমহাশয় যে বাঙ্গলার প্রথম গদ্য গ্রন্থকার সে বিষয়ে অনুমাত্র সন্দেহ নাই। সুতরাং ঙ্গসাহিত্যে র্তাহার স্থান যে অতি উচ্চে তাহা স্বীকার করিতেই হৈবে। আমরা প্রতাপাদিত্য-চরিত্রের ভাষা সম্বন্ধে যথাসাধ্য আলোচনা সিলাম, এক্ষণে ইহার ঐতিহাসিকত্ব সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিৎ আলোচনা করিতে }ছা করি। গ্রন্থের প্রারম্ভে বমুমহাশয় লিথিয়াছেন যে, পারস্ত ভাষার কোন কোন গ্রন্থে রাজা প্রতাপাদিত্যের বিবরণ লিখিত আছে, কিন্তু বিস্তৃত ভাবে ।