পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २०० ] ঘটক কারিকায়ও উহার উল্লেখ আছে, এবং তাঁহাই ঐতিহাসিক তথ্য বলিয়া এক্ষণে স্থির হইয়াছে। কিন্তু বসুমহাশয় ঐক্কপ প্রবাদ কোগ হইতে সংগ্ৰহ করিলেন বলিতে পারি না। বসুমহাশয় লিখিয়াছেন যে, উজীর ইসলাম খাঁ চিস্তি কর্তৃক প্রতাপাদিত্য বন্দী হইয়া পিঞ্জরাবদ্ধ হন। কিন্তু ইসলাম খাঁ চিস্তি কখনও উজীর হন নাই, এবং তিনি প্রতাপাদিতোর ধ্বংসের অনেক পরে বাঙ্গলার সুবেদার নিযুক্ত হইয় এতদ্দেশে আগমন করেন। এ সমস্ত বিষয় আমরা টিপ্পনীতে বিশেষরূপে আলোচনা করিয়াছি । যদিও ইতিহাসের সহিত শেষভাগে তাহার গ্রন্থের অনেক পার্থক্য দৃষ্ট হইয়া থাকে, তথাপি সেই সমস্ত বিবরণ হইতেও তাহা ইতিহাসালোচনার পরিচয় পাওয়া যায়। ইতিহাসের সহিত কোন কোন বিষয়ে পার্থক্য ঘটিলেও তাহার গ্রন্থ যে ঐতিহাসিক গ্রন্থ তাহা স্বীকার করিতে হইবে, এবং ইহাই বাঙ্গাল ভাষার প্রথম ঐতিহাসিক গ্রন্থ। যদিও পূৰ্ব্বে চৈতন্ত ভাগবত, চৈতন্ত চরিতামৃত প্রভৃতি চরিত্র-গ্রন্থ রচিত হইয়াছিল, তথাপি তাহারা ঐতিহাসিক গ্রন্থ অপেক্ষ ধৰ্ম্মগ্রন্থরূপেই চিরপ্রসিদ্ধ। ঐ সকল পুস্তকে ঐতিহাসিক তথ্য অপেক্ষ ধৰ্ম্মমতের প্রাধান্তই বিস্তৃত ভাবেই বিবৃত হইয়াছে। এই সমস্ত গ্রন্থ আমাদের পুরাণাদির অনুকরণে লিখিত, সুতরাং তাহাদিগকে প্রকৃত ঐতিহাসিক গ্রন্থ বলা যায় না। তবে সেই সেই গ্রন্থে তাৎকালিক সমাজাদির যে চিত্র প্রকটিত হইয়াছে, তাহ যে ঐতিহাসিক তথ্যপূর্ণ ইহা স্বীকার করিতেই হইবে। পাশ্চাত্য ভাষা সমূহে যে প্রণালীতে ইতিহাস বা চরিত-গ্রন্থ লিখিত হয়, রাজা প্রতাপাদিত্য-চরিত্র সেইরূপ ভাবেই লিখিত হইয়াছিল। এইজন্ত লং সাহেব প্রভৃতি ইহাকে বঙ্গভাষাৰ প্রথম ঐতিহাসিক গ্রন্থ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। কিন্তু বসুমহাশয়ও প্রাচ্য প্রথা একেবারে পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। ধূমঘাটের গুী