পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२२ ] লাগিল এবং বাদ্যকরেরা আসিয়া স্ব ২ যন্ত্রে তালে মানে বাদ্য আরম্ভ করিল, প্রতিবাসিরাও অনেকে কৌতুহলাক্রান্ত হইয় তাহার বাটতে উপস্থিত হইলেন। রামচন্দ্র সন্তানের মুখ সন্দর্শন করিয়া সম্ভোষার্থ সকলকেই কিঞ্চিৎ ২ দিয়া বিদায় করিলেন। তাহারা তুষ্ট হইয় তাহাকে ংসা করিতে ২ গমন করিল। " রামচন্দ্র কুলাচার অনুসারে একাদশ দিবসে মহাসমারোহপূর্বক বিধি। বোধিত কৰ্ম্ম সমাপন করিয়া পুত্রের নাম ভবানন্দ রাখিলেন। পরে তাহার আর দুই সন্তান হয় মধ্যমের নাম গুণানন্দ এবং কনিষ্ঠের খনাম শিবানন্দ রাখিয়াছিলেন। ঐ তিন সহোদর বুদ্ধিতে বৃহস্পতিতুল্য বাল্যকালেই সংস্কৃত বাঙ্গালা ও পারসীকাদি বিবিধ ভাষায় সুপণ্ডিত হয়েন বিশেষতঃ কনিষ্ঠ অতি কৰ্ম্মঠ ছিলেন। তিনি আপন পিতার অধীনে কৰ্ম্ম করিতে আরম্ভ করেন। কার্য্যবশতঃ সেই দপ্তরের সিরিস্তাদার কায়স্ক কুলোদ্ভব কাস্তারের সহিত র্তাহার অপ্রণয় হওয়াতে রামচন্দ্র নানা প্রকারে উত্ত্যক্ত হইয়া কৰ্ম্ম পরিত্যাগপূৰ্ব্বক গৌড় রাজধানীতে গমন করিলেন। তৎকালে ঐ রাজধানীতে কেবল বাদশাহের এক দুর্গ আর বাঙ্গালা ও বেহারের কর আদায় কারণ এক দপ্তরখানা মাত্র ছিল। ঐ দুইয়ের অধ্যক্ষ নবাব শোলেমান গররাণী নামক একজন পাঠান ছিলেন । তিনি প্রথম অবস্থায় ধনাঢ্য ছিলেন না, হুমায়ুন বাদশাহের হিন্দুস্থান শাসনকালে ঐ তুচ্ছ কৰ্ম্মে নিযুক্ত হয়েন । রামচন্দ্রের তথায় গমনের কয়েক বৎসর পূর্কে তিনি ভাগ্যবশতঃ বাঙ্গালা বেহার ও উড়িষ্যা এই তিন প্রদেশের সুবাদার হইয়া অসীম ধন উপার্জন করত সৰ্ব্বত্র সন্ত্রান্ত হইয়াছিলেন। হুমায়ুনের লোকান্তর প্রাপ্তি হইলে পর তাহার পুত্রের রাজ্যের লোভ সম্বরণ করিতে না পারিয়া দিল্লীর সিংহাসন আরোহণ উপলক্ষে পরম্পর ঘোরতর সমরে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, সুতরাং সিংহাসন কিয়ৎ দিবস পূত