পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२० ] তোড়লমল কোন উপায় করিতে না পারিয়া প্রভুর গোচর কারণ ঐ সমস্ত বিবরণ সম্বলিত এক পত্র লিখিয়াছিলেন। বাদশাহ পত্রের তাৎপৰ্য্য জ্ঞাত হইয়া ক্রোধভরে সকল সৈন্ত সামন্ত সসজ্জ হইতে আদেশ করিলেন। দিল্লীর চতুষ্পাশ্বস্থ সমস্ত সৈন্ত সামন্ত একত্র হইলে প্রধান ২ সেনাপতিদিগকে আহবান করিয়া আজ্ঞা করিলেন যে তোমরা গৌড়ে যাইয়৷ দায়ুদের মুণ্ড নিশানের কলস করিয়া দাও এই আজ্ঞা শ্রবণমাত্রে সকলে হর্ষে পুলকিত হইয়া কেহ বা লম্ফ কেহ বা ঝম্প কেহ বা হুঙ্কার শব্দ করত সজ্জমান হইতে লাগিল। জয়ঢঙ্কা তুরী ভেরী প্রভৃতি বিবিধ বাদ্যের শব্দ কেহ কাহার কোন কথা শুনিতে পান না। সেনাপতির স্ব ২ সৈন্য লইয়া বাছ আস্ফালন করত গৌড়ে গমন করিল। বাদশাহ তাহাদিগের পশ্চাৎ ২ মৃগয়া করিতে ২ আসিতে লাগিলেন। এই সমস্ত ব্যাপার দেখিয়া দায়ুদের উকীল বিবেচনা করিল যে, আমাদিগের প্রভুর আর রক্ষা নাই, যাহা হউক সংবাদ পাঠান অতি কৰ্ত্তব্য। এই বিবেচনা করিয়া লোক দ্বার সমুদায় বৃত্তান্ত দাযুদকে জ্ঞাত করাইল । বাদশাহ সকল সৈন্ত সামন্ত লইয়া মহাক্রোধে আসিতেছেন, ইঙ্গ শুনিয়া দায়ুদ্ধ মূৰ্ছিত হইলেন কিঞ্চিৎকাল পরে চেতনা পাইয়া, কি কবি, কোথা যাই, প্রাণ রক্ষার কোন উপায় দেখিনা, এইরূপ চিন্তায় ব্যাকুল হইয়া, মহারাজ বিক্রমাদিত্য ও রাজা বসন্তরায়কে ডাকিয়া নির্জনে কহিলেন, আমার আর জয়ের সম্ভাবনা নাই, দিল্লীশ্বর স্বয়ং সৈন্যগণের অধ্যক্ষ হইয়া আমাকে আক্রমণ করিতে আসিতেছেন, পৃথিবীতে এমন কে আছে যে তাহার সন্মুখবন্তী হইয়া যুদ্ধ করে। বুঝি আমার শেষ দশ উপস্থিত, নতুবা কেন এমন কুবুদ্ধি ঘটিল, আমি শৃগাল হইয়া দুৰ্দ্দান্ত সিংহের সহিত যুদ্ধ করিতে প্রবৃৰ্ত্ত হইয়াছি, সকলি সময়ে করে, এক্ষণে আর কোন উপায় দেখি না, যাহা হউক যাহা করা-গিয়াছে সেইরূপ তোমরা করহ আমার