পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २¢७ ] ছক্রিয়ার দণ্ডার্থ তাহার স্তনদ্বয় ছেদন করিলেন। দাসী তাহার জালায় অতি কাতর হইয়া প্রাণত্যাগ কালে কহিল, মহারাজ আপনি যশোহরেশ্বরী দেবীর আজ্ঞা উল্লঙ্ঘন করত আমাকে অতি যন্ত্রণ দিয়া নষ্ট করিলেন। আপনকার আর বিস্তর কাল অপেক্ষা নাই ; অচিরে কালগ্রাসে পতিত হইবেন এই কথা কহিতে ২ প্রাণ পরিত্যাগ করিল। তদবধি রাজার উত্তোরোত্তর শ্রীভ্রষ্ট হইতে লাগিল । সকলে কহিয়া থাকেন সহচরীকে ঐরূপে যন্ত্রণা দেওনের পর রাজা প্রতাপাদিত্যের কুষ্ঠব্যাধি হইয়াছিল। রাঘবরায় দিল্লীতে থাকিয়া উজীরতনয়ের শিক্ষকের নিকট পারসীক বিদ্যা অভ্যাস করেন এবং তাহার কৰ্ম্ম কাৰ্য্য করেন । তাহাতে তিনি বাঘবরায়ের প্রতি অতিশয় সস্তুষ্ট ছিলেন, যখন তিনি উজীরের পুত্রকে পড়াইতে যাইতেন, রাঘবরায় তাহার সমভিব্যাহারে থাকিত। এইরূপ যাতায়াত করিতে ২ উজীরপুত্রের সহিত র্তাহার আলাপ পরিচয হইল। পরে উজীরপুত্রের অনুমতিক্রমে তিনি তাহার সহিত একত্র পড়িতে লাগিলেন। এক দিবস রাঘবরায় উজীরের পুলকে আত্মবিবরণ নিবেদন করিলে তিনি অতি দুঃখিত হইয়া ঐ সকল কথা স্বীয় পিতাকে বিদিত করিলেন। উজীর রাঘবরায়কে সঙ্গে লইয়া বাদসহিকে রাজা প্রত্যপাদিত্যের দৌরাত্ম্য জানাইলেন এবং কাননগোরাও তৎকালে নিবেদন করিল, অনেক কাল অবধি রাজা প্রতাপাদিত্য কর প্রেরণ করে না তাহার হস্তে বাঙ্গালা ও বেহার আছে। বাদসহ দুই পক্ষের কথায় প্রতাপাদিত্যের প্রতি অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয় আজ্ঞা করিলেন, যে একজন আমীর যাইয়া তাহাকে দমন করে। সেই আজ্ঞানুসারে আবরাম খাঁ বাহাদুর প্রতাপাদিত্যকে আক্রমণ করিতে পার্চ হাজার সৈন্ত সহ বঙ্গদেশ প্রতি যাত্রা করিয়া চারি মাসে পাটনায় পহুছিলেন। তথায় রাজা প্রতাপাদিত্যের সেনাগণ সহ তাহার সাক্ষাৎ হইলে,