পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৬৩ ] আধুনিক ভাষার পরিণতি তাহ উহার ভূমিকা প্রভৃতি হইতে সকলেই অবগত হইয়াছেন। তদ্ভিন্ন এই দুই গ্রন্থ আলোচনা করিলেই তাহা সুস্পষ্ট ৰূপেই প্রতীয়মান হইবে। এই জন্য আমরা ইহার কোন নুতন টাকাটিপ্পনী প্রদান করি নাই। আধুনিক ভাষায় লিখিত হইলেও প্রায় পঞ্চাশ বৎসর পূর্বের ভাষার সহিত বর্তমান ভাষার যে কিছু কিছু পার্থক্য আছে, তাহা উক্ত গ্রন্থ পাঠ করিলেই জানিতে পারা যায়। ‘বাস করিয়া রক্তেন’ প্তির থাকন, হতবুদ্ধি ঘটিয়াছে, থাকহ, করচ,’ ‘হয়েন, ‘হওন,’ করণ, পাওত, “হওত, করত, ‘কহিলেক, বসিলেক,’ ‘হইবেক, করিবেক, ইত্যাদি প্রয়োগ বৰ্ত্তমান ভাষায় দৃষ্ট হয় না। সুতরাং পঞ্চাশ বংসর পূর্বের ভাষা কিরূপ ছিল, তাহা এই গ্রন্থ হইতে বুঝিতে পারা যাইবে । তর্কালঙ্কার মহাশয় সংস্কৃত কলেজের ছাত্র ছিলেন, সুতরাং তাহার ভাষা যে তৎসময়নুযায়ী মাজ্জিত ছিল তাঙ্গতে সন্দেহ নাই । তবে তখনও ভাষার যেরূপ স্রোত বহিতেছিল, তর্কালঙ্কার মহাশয় তদ্বারা যে কিয়ৎ পরিমাণে ভাসমান হইবেন তাহাতে সন্দেহ কি ? আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, এই গ্রন্থ বসুমহাশয়ের গ্রন্থের অনুবাদ মাত্র, তজ্জন্য আমরা টঙ্গর কোন নূতন টকাটিপ্পন করি নাই। তথাপি দুই একটি স্থানের বিষয় আমরা উল্লেখ করিতেছি। তর্কালঙ্কার মহাশয় এক স্থলে লিখিয়াছেন যে, গৌড়ের যশোহরণ করিয়া বিক্রমাদিত্যের স্থাপিত রাজধানীর যশোহর নাম হয়। কিন্তু আমরা দেখাইয়াছি যে, বহু প্রাচীন কাল হইতে যশোহরের অস্তিত্ব ছিল. তাহা যশোর নামেই অভিহিত হইত, যশোহর নামে নহে । তদ্ভিন্ন তিনি যশোর জেলার সদর ষ্টেশনের সহিত প্রাচীন যশোরের অভিন্নতা অনুমান করিয়া তথা হইতে অনেক মৎস্য আনীত হয় ও তাহাদিগকে যগুরিয়া কহে বলিয়াছেন। বর্তমান যশোর হইতে প্রাচীন যশোহর যে পৃথক তাহ আমরা প্রদর্শন করিয়াছি। আর একস্থলে লিথিয়াছেন যে,