পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] ইহার দুঃখের সীমাহ নাই। ইনি সদাই নিরানন্দ কোন কার্য্যে আমদ নাই ইহার পূর্ব মত আহার নিদ্রা নাই তোমার বিচ্ছেদে ইনি অতিশয় কিছুমান। আমি তোমাকে যত্নপূৰ্ব্বক পাঠাইয়াছিলাম ইহাতে ইনি হরিষ মনে আমার সহিত আলাপ করেন না এই পর্য্যন্ত শোকিৎ। অতএব পুত্র তোমার বিবরণ অবগত কর আমাকে তবে আমার প্রাণ স্থির হয় নতুবা আমি যথেষ্ট উৎকষ্টিত। - প্রতাপাদিত্য পূৰ্ব্বে রাগত হইয়। এমত করিয়াছেন এখন রাগের বিচ্ছেদ হইয়া প্রেমের উদয় হইয়াছে ইহাতে বিস্তারিত কুণ্ঠ হইয়া লজ্জা প্রযুক্ত প্রত্যুত্তর করিতে না পারিয়া এক কালিন কাদিতেই পিতা খুল্লতাতের চরণে পড়িয়া বলিতেছেন পিতা আমি নিল্ল জ দুৰ্জ্জনতা করিয়াছি এখন কি মতে তাহা নিবেদন করিব । ইহাতে মহারাজা ও বাজা বসন্ত রায় প্রতাপদিতাকে ক্রোড়ে করিয়া অঙ্গে হাত বুলাইয়াতেছেন ও বলিতেছেন পুত্র লজ্জা নাই ভয় করিও না যাহা তুমি কবিয়া আসিয়াছ সেই আমাদের সৎক্রিয় তাহা আমরা দুৰ্জ্জনত গণনা করিব না। এই মতে শান্তন করিলে সে কিছু প্রত্যুত্তর না করিলে বাদসহি ফরমান পঞ্জী সমেত মহারাজা বিক্রমাদিত্যের সম্মুখে দিলেন। ৩৯) রাজা বসন্ত রায় তাহ পাঠ করিয়া বালকের শিব চুম্বন করিয়া বলিলেন কিমর্থ তুমি লজ্জিত এ একটা লজ্জাকর ক্রিয় কর নাই রাজলক্ষ্মী সৰ্ব্বকাল একজনের থাকে না দেখ মান্ধতা সগর দিল্লিপ ভরত ভগীরথ ইহারা সকলে পৃথিবীপতি। এখন কে কোথায় রহিলেন আমরা কোন কিটস্য কিট ক্ষুদ্র বস্তু। তত্ৰাপি আমাদের অদ্যপি সে মত হয় নাই। আমারদের পুত্র রাজা হইল আমরা হইলাম পিতা ও খুড়া এ আমারদের অতি ভাগ্য ইহাতে আমাদের ক্ষোভ নাই (৪০) তুমি আইসহ এই কহিয়া দুই ভ্রাতা তাহার দুই কর ধারণ করিয়া পুরীর মধ্যে গতি করাইলেন।