পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্তব্য । ভারতবর্ষের বা বঙ্গদেশের ধালাবাতিক ইতিহাস নাই। এই কথা পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ গুরুগম্ভীবস্বরে বলিস। থাকেন, এবং আমাদের বর্তমান শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও অনেকে সেই মতের অনুসপণ কবিতে আরম্ভ করিয়াছেন। ইহা আংশিক সত্য হইলে । সম্পূর্ণ সত্য নহে । ভারতের প্রাচীন পুথি, শিলালিপি, তামফলক ও কাশীপ, বাজপুতানাব ৷ লিখিত বিবরণে এখনও যথেষ্ট ইতিহাসের উপাদান নিহিত আছে । বাঙ্গলা দেশেও তাহদের অত্যন্তাভাব নষ্ট । লাঙ্গলা দেশেও এক্ষণে তাম শাসন ও প্রাচীন পুথি অনেক পাওস সাল । সৰ্ব্বাপেক্ষ ঘটকগণেল লিখিত কুলগ্রন্থ হইতে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য অবিদ্যুত হইতে পাবে। ইহা সাধারণতঃ সামাজিক ইতিহাস হইলে ও বাষ্ট্রনীতির সঠিত যে ইহার কোনই সম্বন্ধ নাই এমন নহে । উদাহরণস্বরূপ এই উল্লিখিত ঘটককারিকার আলোচনা কবিলে সকলেই বুঝিতে পালিবেন । ইহাতে তাৎকালিক রাষ্ট্রনীতিব বিশেষরূপই পবিচম পাওয়া যাম। কুলাচাৰ্য্যগণ জাহাঙ্গীর বাদসাহ ও জানিতেন, মানসিংহ ও জানি%েন, আজিমখা ও জানিতেন । ইহারা সকলেই ঐতিহাসিক ব্যক্তি। প্রতাপাদিত্য কিরূপ ভাবে যুদ্ধসজ্জা করিয়াছিলেন, পট গীজ বা ফিবিঙ্গাদিগের সাহায্য তাহার গোলন্দাজ সৈন্যগণ কিরূপ ভাবে শিক্ষিত ও চালিত হইত, বঙ্গালী রণক্ষেত্রে কিরূপ ভাবে: মোগল, পাঠান ও বাজপুতের অসির সহিত আপনাদিগের অসিক্রীড়া করিয়াছিল, এই সমস্ত ইহাতে বিশদ ভাবে অঙ্কিত আছে। তবে ইহার মধ্যে অধিকাংশই অতিরঞ্জিত । ইতিহাসের নিকষ পাষাণে ইহার পরীক্ষা করা কৰ্ত্তব্য । তাই বলিয়া আমাদিগকে