পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬২ j ইহাকে উপেক্ষার চক্ষে দেখা যুক্তিযুক্ত নহে। ভারত বা বাঙ্গলার োন ইতিহাস প্রকৃত সত্যে পরিপূর্ণ তাহ আমরা জ্ঞাত নহি। হিন্দুর কথা ছাড়িয়া দেও, মুসলমান বা ইংরেজের লিখিত ইতিহাসে কি অতিরঞ্জনের তুলিকা ক্রীড়া করে নাই ? যখন সেই সমস্ত ইতিহাসকে সত্যের নিকস পাষণে পরীক্ষা করিয়া প্রকৃত সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হয়, তখন যাহাতে কিছু বেশী মাত্রায় অতিরঞ্জনের অঙ্কন আছে, তাহাকে দূরে পরিহার করা যুক্তিযুক্ত বলিয়া আমরা মনে করি না। রাজপুতানার চারণ কবিগণের লিখিত বিবরণ প্রকৃত ঐতিহাসিক তথ্যের সহিত বহুস্থানে অনৈক্য হইলেও যখন তাঙ্গ সৰ্ব্ববাদীসম্মতিক্রমে ইতিহাস বলিয়া আদৃত হইতেছে, তখন বাঙ্গলার কুলাচাৰ্য্যগণের কাবিকাকে উপেক্ষা করিলে চলিবে কেন ? তাই বলিতেছি যে, সত্যের নিকম পাষণে পরীক্ষা করিয়া ইহা হইতে যে কিছু ঐতিহাসিক তথ্য নিষ্কাষিত হয় আমাদের তাছাই গ্রহণ করা কৰ্ত্তবা। এই কারিকায় প্রতাপাদিত্যের অদ্ভূত পরাক্রম বা তাহার সৈন্তগণের অপূৰ্ব্ব শিক্ষা ও যুদ্ধকৌশল যাহা বর্ণিত হইয়াছে তাহা ঐতিহাসিক তথ্য। অনেক প্রমাণের দ্বারা তাহ সমর্থিত হয়। প্রতাপাদিত্যের নিষ্ঠুরতায় যে র্তাহার পতন হয় তাহাও প্রমাণীকৃত হয়। মানসিংহের সহিত র্তাহার যে ঘোরতর যুদ্ধ হয়, ইহাও ঐতিহাসিক সত্য। তবে আজিমখার মৃত্যু প্রভৃতি কতকগুলি ভ্ৰমাত্মক বর্ণনা আছে। বাইশ আমীরের আগমন প্রকৃত। তাহাদের সকলের না হউক, অনেকের ধ্বংসের কথাও নানা প্রমাণের দ্বারা স্থিরীকৃত হইয়া থাকে। তবে প্রতাপাদিত্য কর্তৃক মানসিংহের বারম্বার পরাজয়ের কথা সত্য কি না বলা যায় না । কিন্তু প্রতাপের সহিত মানসিংহের ঘোরতর যুদ্ধের কথা সত্য হইলে মানসিংহের সৈন্ত যে কখনও কখনও পরাজিত হয় নাই, এরূপ অনুমান করাও সঙ্গত নহে। ফলতঃ ইতিহাসের সহিত মিলাইয় দেখিলে, ইহা হইতে অনেক