পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬৩ ] তথ্য আবিষ্কৃত হইয়া থাকে। সুতরাং প্রতাপাদিত্যের বিবরণ সম্বন্ধে ইহা যে অনেক পরিমাণে প্রমাণ্য তাহ স্বীকার করিতেই হইবে। এই সমস্ত ঐতিহাসিক তথ্য ব্যতীত তৎকালে কুলাচাৰ্য্যগণ আপনাদের গ্রন্থে অনেক দার্শনিক ও শাস্ত্রীয় তত্ত্বের অবতারণা করিতেন, অনেক ধৰ্ম্মকথাও লিপিবদ্ধ করিতেন । তদ্বারা সাধারণে অনেক ধৰ্ম্মোপদেশ লাভ করিতে পারিত। কঠোর ইতিহাসই যে কেবল লোকশিক্ষার সহায় এরূপ মনে করা প্রকৃত নহে। এই কারিকায় বেদান্তসম্মত অনেক দার্শনিক তত্ত্বের অবতারণা করা হইয়াছে। ছন্দ, অলঙ্কার, ব্যাকরণের অসংখ্য দোষ বা ভূরি ভূরি বর্ণাশুদ্ধি থাকিলেও তখনকার কুলাচাৰ্য্যগণ যে শাস্ত্রের অনেক তত্ত্ব অবগত ছিলেন তাহা স্বীকার করিতেই হইবে, এবং কুলবর্ণনা উপলক্ষ করিয়া তাহারা সাধারণের মধ্যে এই সমস্ত তত্ত্ব প্রচারও করিতেন। সুতরাং এই কারিকার দ্বারা লোকের ঐতিক ও পারত্রিক উভয়বিধ জ্ঞানের সঞ্চার হইত। এই জন্য এই সমস্ত গ্রন্থ যে কতদূর আদরের বস্তু তাহা সকলে উপলব্ধি করিতে পালিতেছেন । কোন সময়ে এই কাবিক বচিত হইয়াছিল, তাহা স্তির করিয়া বলা যায় না। কুলাচাৰ্য্যগণ বংশপরম্পরাক্রমে কুলগ্রন্থ লিখিতেন । কিন্তু প্রতাপাদিত্যের এই বিবরণ কোন সময়ে লিপিত হয় তাহা জানিবার উপায় নাই । তাহাব সময়ে যে লিখিত হয় নাই, তাহার প্রমাণ কারিকার মধ্যেই পাওয়া যায়। কারিকায় মানসিংহকে জয়পুরেশ্বর বলিয়। উল্লেখ করা হইয়াছে, মানসিংহের সময় যে জয়পুরের স্থাপন হয় নাই, তাহা বোধ হয় সকলেই অবগত আছেন । সুতরাং জয়পুরস্থাপনের পর যে উহ। লিখিত হয় তাহাই সহজে প্রতীত হইয় থাকে। আবার এই গ্রন্থের সহিত অন্নদামঙ্গলের প্রতাপাদিত্য বিবরণের অনেক ঐক্য আছে । ইহাদের মধ্যে কোন খানি পূৰ্ব্বে ও কোন খানি পরে লিখিত হয় তাহ