পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭ઝર ] করিয়া তাহাকে দিল্লীতে ধৃত করিয়া অনিবার জন্ত সেনাপতি মানসিংহকে সসৈন্তে প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে নানাপ্রকার কষ্ট ও বিপদ ভোগ করা মানসিংহ অবশেষে ঈশ্বরীপুরের নিকট উপস্থিত হন। এই সময়ে রাজা প্রতাপাদিত্য র্তাহার প্রজাগণের প্রতি অত্যন্ত নৃশংস ব্যবহার আরম্ভ করিয়াছিলেন। তিনি সামান্ত দোষের জন্য যথায় তথায় তাহাদিগের মস্তকছেদনের আদেশ প্রদান করেন। কালিকা দেবী এই সকল দেখিয়া তাহার আশীৰ্ব্বাদ প্রত্যাহারের জন্য উৎসুক হন। তজ্জন্ত তিনি এক দিন ছদ্মবেশে রাজার কন্যার আকার ধারণ করিয়া দরবারে রাজার সম্মুখে উপস্থিত হন। সেই সময়ে রাজা একটি বিচারের ভাণে প্রবৃত্ত ছিলেন। র্তাহার সম্মুখে রাজদরবার-গৃহ পরিষ্কৃত করার অপরাধে তিনি এক চণ্ডালিনীর মস্তকছেদনের আদেশ দেন। রাজামাত্য ও সভাষদগণ রাজকন্যা বোধে তাহদের সম্মুখে তাহার উপস্থিতি অত্যন্ত অসঙ্গত বিবেচনায় আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়া উঠে। রাজাও র্তাহাকে ছদ্মবেশিনী দেবী জানিতে না পারিয়া নিজ কন্যাজ্ঞানে তাহাকে দরবার হইতে বাহির হইয়া ও একেবারে প্রসাদ পরিত্যাগ করিয়া যাইতে বলেন। দেবী তৎপরে আত্ম প্রকাশ করিয়া পূৰ্ব্ব কথা স্মরণ করাইয়া দিলেন যে, যতদিন পর্যন্ত রাজা তাহাকে নিজে তাড়াইয়া না দিবেন ততদিন পর্য্যন্ত র্তাহার আশীৰ্ব্বাদ ও প্রতিশ্রুত সাহায্য বিদ্যমান থাকিবে। এক্ষণে তিনি তাহার সত্য পালন করিলেন, এবং আর তিনি এরূপ নৃশংস রাক্ষসকে কোনরূপ সাহায্য করিতে প্রস্তুত নহেন। পরে তিনি মন্দিরকে দক্ষিণ দিক হইতে পশ্চিম দিকে ফিরাইয়া দিলেন, ও রাজাকে পরিত্যাগ করিলেন । এই ঘটনার পরে মানসিংহ ঈশ্বরীপুরের নিকট উপস্থিত হন। ঘোরতর যুদ্ধের পর উভয় পক্ষের বহু সহস্র সৈন্ত নষ্ট হইলে প্রতাপাদিত্য বন্দী হইয়৷ পিঞ্জরাবদ্ধ অবস্থায় দিল্লীতে নীত হন। তিন সতর্কত অবলম্বন করিয়া পিন্ধরমধ্যে একটি ক্ষুদ্র