পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8-> ) শোর নহে। উহা ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত কালীগঞ্জ থানার নিকট অবস্থিত । ৫। বিক্রমাদিত্যের প্রতাপাদিত্য নামে এক পুত্র ছিল। প্রতাপদিত্য যাবতীয় পার্থিব সদগুণে বিভূষিত ছিলেন। প্রতাপ উত্তরাধিকারত্ব স্থত্রে সমস্ত যশোররাজ্য প্রাপ্ত হন। তিনি পিতার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষ করিয়াছিলেন কিনা সন্দেহ। কারণ, তাহার পিতার জীবিতকালে তিনি যশোরের নিকট একটি নূতন নগর প্রতিষ্ঠিত করিয়া বিক্রমাদিত্যের মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বেই তথায় বাস করিতে আরম্ভ করেন। প্রতাপাদিত্য উত্তরাধিকারিত্বস্বত্রে ও সোপাজ্জিতরূপে ষে রাজ্য অধিকার করিয়াছিলেন তাহা ‘ব’ দ্বীপের অন্তর্গত ও সুন্দরবনের সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল । তাহার রাজ্য ইচ্ছামতী নদীর পূর্বভাগস্থ সমস্ত ২৪ পরগণা জেলায় ও উত্তর ও উত্তর-পূৰ্ব্ব অংশ ব্যতীত সমগ্র যশোর জেলায় বিস্তৃত ছিল। প্রতাপাদিত্যের রাজ্যের উত্তর কৃষ্ণনগর বা নদীয়া রাজার রাজ্য অবস্থিত ছিল । * ৬ । কথিত আছে যে, সেই সময়ে বাঙ্গলা বা সম্ভবত: নিন্ন বঙ্গই বারজন ভুইয়ার অধিকারে ছিল, তাহারা বাদসাহকে করপ্রদান ও তাহার অধীনস্থ বাঙ্গলার সুবেদারের বশ্যতা স্বীকার করিতেন। এই কয়জনের মধ্যে প্রতাপাদিত্যই সকলের অপেক্ষ ক্ষমতায় প্রধান হইয়া উঠেন, এবং ক্রমে দিল্লীশ্বরের অধীনতা ছেদন করিয়া দিল্লীতে করপ্রদানে অস্বীকৃত হন। এই সময়ে বাঙ্গলায় অত্যন্ত অরাজকতা বিরাজ করিতেছিল, বিবাদ ও বিদ্রোহে সমস্ত বঙ্গভূমি পরিপূর্ণ হইয়া উঠে। ইহাতে প্রতাপাদিত্যের পক্ষে অত্যন্ত সুযোগ ঘটিয়াছিল । • সেসময়ে নীয়ার বা কৃষ্ণনগরের রাজার রাজা ছিল না। তাহার কয়েকখানি গ্রামের অধিপতি মাত্র ছিলেন। -