পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৫ ] বেড়ে ও গাধাগণ পশ্চিমের দালানে হাতি ও উট তাহারদের সাতে আর২ অনেক ২ পশুগণ । এক পোয় দীর্ঘ পন্থ নিজপুরী। তার চারিদিগে প্রস্তরে রচিত দেয়াল। পূবর দিগের সিংহদ্বার তাহার বাহির ভাগে পেট কাটা দরজা। শোভাকর দ্বার অতি উচ্চ আমারি সহিৎ হস্তি বরাবর যাইতে পারে। দ্বারের উপর এক স্থান তাহার নাম নওবৎখানা তাহাতে অনেক ২ প্রকার জন্ত্রে দিব। রাত্রি সময়ামুক্রমে জন্ত্রিরা বাদ্যধ্বনি করে। নওবংখানার উপরে ঘড়িঘর। সে স্থানে ঘড়িয়ালেরা তাহারদের ঘড়িতে নিরক্ষণ করিয়া থাকে দণ্ডপূর্ণ হবা মাত্রেই তারা তাহারদের ঝাজেল উপর মুদগর মারিয়া জ্ঞাত করায় সকলকে। তদুপরিভাগে মন্দিরের চূড়ার স্থায় ঘন্টাঘর নিৰ্ম্মিত ইষ্টয়াছে অতি উচ্চ সে ঘর বিলক্ষণ দেখায় তাহার মধ্যে সত নাদীয় ঘণ্টা বন্ধ লোকের তাহার সময়েতে কল ফিরাইয় দেয় প্রতি দণ্ডে সে ঘণ্টা বাজিয়া উঠে ঘণ্টার ঠন ঠনি শব্দ গড়ের মধ্যে পাচ ক্রোশ পর্য্যন্ত শুনা যায়। ঘণ্টা ঘরের চুড়ার উপরে ধ্বজ। তাহাতে উড্ডায়মান পতকা শোভ পাইতেছে কৃষ্ণবগ্ন পতাকা উড়িতেছে সে ধ্বজের ওপরে তাহ অন্ত লোকের দ্বারে থাকিয়া দেখিতে পায় যে মত মেঘ পবনের তেজে গতি করিতেছে। এমত আশ্চৰ্য্য সিংহদ্বার গঠন করিয়াছে হেনোস্থানের মধ্যে এমত স্থান কুত্ৰাপি দেখা যায় না। দ্বারে দ্বারপাল সের আলি খা (৪৫) নামে,পাঠান ভয়ঙ্কর তাহার মূৰ্ত্তিহ্রদর্শ কায় মহা পরাক্রমে। আফিম চরস ইত্যাদি খায় সাদাই ক্রোধি শত শত পাঠান তাহার পরিবার অতি দন্তেতে সে দ্বার রক্ষা করে তাহাকে দেখিলেই বিপক্ষ লোক পলায়নপর হয়। সে দ্বারের মধ্যে প্রবেশ করিলে তাহার পর অপূৰ্ব্ব সুশোভিত নগর চারিদিগেই দোপট সহর ছেমহলা