পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8७ ] আমোদিত হইয়া চতুৰ্দ্দোলে আরোহণে ধুম ঘাটেরপুরীতে আগমন করিতেছেন। একশত চতুৰ্দ্দেলি পরিপূর্ণ। অগ্রে রাণীরা তাহারদের বালক বালিকা সহিত চতুৰ্দ্দোলারোহনে গমন করিতেছেন তৎপশ্চাত মনোরম সেবকীরা সেইমতে। ইহারদের চারি পার্শ্বে মনোরমা নৃত্যকীগণ চতুৰ্দ্দেলা রোহনেতে শত২ নৃত্ত্যকী নৃত্য গীত বাদ্য ধ্বণী করিতেছে। সকলের অগ্রভাগে রত্ন মণ্ডিত চতুৰ্দোল তাহার বর্ণনা কিঞ্চিৎ বলা যাইতেছে। চারি ব্যাম দীর্ঘ প্রস্থ স্বর্ণ তেলাকারি মণ্ডিত । চারিপাশ্বের ঝালর । উপরি ভাগ মখমলের বিছানা পাতিত। বিছানার চারি কেনারা টোপে বন্ধ ঝালরের চারিদিগের মুড়ায় শত২ কাংশ ঘটিক দোলায়মান ঠুমুহ শব্দ করিতেছে। দোলার মধ্যস্থলে কাষ্ঠনির্মিত স্বর্ণ মার্জিত মন্দিরের আকার চূড় সহযুক্তে দিবাস্থান । সেই মন্দিরের চারি স্তম্ভ স্বর্ণ মণ্ডিত উপরিভাগে মখমলের ঘটাটোপ। তাহাতে তেজস্কর চুনি ইত্যাদি নানা বর্ণের প্রস্তর খচিত মুক্তার ঝাবা চতুস্পার্শ্বে। তাহার মধ্য দিব্য রত্ন মণ্ডিত সিংহাসন কতেক শোভাকর সমিগ্রি তাহতে শোভা করিতেছে। তাহার মধ্যে জরির বিছানা ও বালিষ শোভা পাইতেছে। সেই আসনে মহারাজা ও মহারানী বিরাজমান ও বিরাজমান মন্দিরের চারিদিগে কৃত্রিম পুষ্প উষ্ঠান আতর ইত্যাদি সুগন্ধিতে রচিত। এই মত চতুৰ্দ্দোল রোহণেতে রাণিগণ বিরাজমানা হইয়া নূতন পুরীতে গমন করিতেছেন। সকলের আগে দ্বিজগণ বেদ উচ্চারণ করি স্বস্তি বাক্য উচ্চারণ করিতে ছেন। এইমতে প্রফুল্ল মনে গৃহ প্রবেশ করিলেন । গৃহ প্রবেশ হইলে রাণীরদের আজ্ঞায় সেবকীরা তৈল পান ভক্ষ্য দ্রব্য মিষ্টান্ন পৃভূতি দ্রব্য গরিব লোকের দিগকে বিতরণ করিতেছে। এইং মতে সকলেই আনন্দিত। পুীর মধ্যে চারিদিগে জ্বয়ং কার ধ্বনি হইতেছে। 8