পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( to S ) চতুর্থ—দেবীর ‘বাম’ বা বিমুখ’ হওয়ার যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তাহাতে বুঝা যায় যে, দেবীর প্রতাপাদিত্যের প্রতি অপ্রসন্নতা হেতু কেবল যে মুখ ও মস্তক বক্র হইয়াছিল তাহ নয়, পরস্তু প্রবাদ এই যে, দক্ষিণাস্ত দেবী মন্দির সহ পশ্চিমাস্ত হইয়াছিলেন। 'ঘটক কারিকা’, অন্নদামঙ্গল’, রামরামবমু :-প্রতাপাদিত্য প্রভৃতি পুরাতন গ্রন্থে, যে প্রসঙ্গ আদে নাই, অদ্যাবধি আমাদের যশোহর বঙ্গজ সমাজে যে প্রসঙ্গের বিষয় প্রাচীন লোকেরা সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ, তখন সহজেই বুঝা যাইতেছে যে, সেই প্রসঙ্গের বা অনুমানের মূল কোথায়। সশোহর সমাজের অন্তভূক্ত এক স্থানে আজিও যশোহবেশ্বরীর মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছেন , তাহার পুরাতন কালের সেবাইতগণ আজিও পুরাতন দেবোত্তর সম্পত্তি ভোগ করিতেছেন। তবে এ কথা কোথা হইতে আসিল যে অম্ববেব শিলাদেবী প্রতাপাদিত্যের যশোহরেশ্বৰী ? অধুনাতন বাঙ্গালী ভদ্রলোক পৰ্য্যটকগণের এটা অনুমান মাত্র। প্রসিদ্ধ কবি শ্ৰীযুক্ত নবীনচন্দ্র সেনের দ্যায় কৃতবিদ্য ব্যক্তিও ( আমার যতদূব স্মরণ হইতেছে) এই ভ্রমের প্রচারপক্ষে সহায়তা করিয়াছেন । এই ধারণা যে সহজেই জন্মিতে পাবে, তাহাব আলোচনা করিতে গেলে (গ) সংখ্যক যুক্তির অবতারণা কবিতে হয়। দেবী মূৰ্ত্তি অম্বর নগরে বজা মানসিংহ কর্তৃক আনীত ; পূজাপদ্ধতি বঙ্গীয় রীতি অনুযায়িক ; এবং পূজারী বাঙ্গালী। এই তিনটা বিষয় হইতে একেবাবে সিদ্ধান্ত করা হইয়াছে যে, ‘শিলাদেবী প্রতাপ দিত্যের যশোচবেশ্ব ীি। “বিদ্যাধর” প্রবন্ধে মেঘনাথ বাবু উক্ত তিনটী বিষয়ের সম্যক আলোচনা করিয়াছেন । কিন্তু উক্ত তিনটী বিষয় সত্য বলিয়৷ মানিয়া লইলেও এই সিদ্ধান্ত যে সত্য তাহা কিরূপে মানা যায় ? বরং সিদ্ধান্ত যে সত্য নয়, তাহার অনুকূলে এখানকার দলীলাদিই প্রামাণ্য। আমার বিজ্ঞ ও শ্রন্ধেয় বন্ধু বাবু মেঘনাথ