পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ¢०२ ) ভট্টাচাৰ্য্য যে “বংশাবলীর’ উল্লেখ করিতেছেন, তাহাকে একেবারে উড়াইয়া দেওয়া যায় না। এই মাড়য়ারী ভাষায় লিথিত “বংশাবলী" খানি প্রথমতঃ আমাদের প্রিয়তম বন্ধ ও জয়পুর শিক্ষা বিভাগের অধ্যক্ষ বাবু সঞ্জীবন গঙ্গোপাধ্যায় প্রাপ্ত হয়েন, এবং তৎসঙ্গে আমেরের পূজারীদিগের নিকট হইতে পুরাতন পাট্ট প্রভৃতির দলীলও পান। পরে সেই কাগজগুলি মেঘনাথ বাবু পান এবং তাহার উপরে ভিত্তি স্থাপন করিয়া মেঘনাথ বাবু সাহিত্যপরিষৎ পত্রিকায় প্রবন্ধ লিথিয়াছেন, এবং উক্ত “বিদ্যাধর” শীর্ষক প্রবন্ধ প্রথমতঃ “এডুকেশন গেজেটে” প্রকাশিত হইয়াছিল। কিন্তু আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধুর মন প্রবন্ধ লিখিবর সময়েও সন্দেহদোলায় আন্দোলিত হইয়াছে। তিনি এখনও ঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারেন নাই। নতুবা— k “কেদরকায়ত =পরতার্দীপ = প্রতাপাদিত্য । এইরূপ বুঝিলে সকল গোল মিটিয়া যায়”এরূপ লিখিবেন কেন? সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকার স্থবিজ্ঞ সম্পাদক বাবু নগেন্দ্রনাথ বসু মহাশয় এক টিপ্পনী লিথিয় উক্ত গোলযোগ ঐ ভাবে মিটাইবার পক্ষে বাধা দিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন ঃ– “কেদার কায়েতকে আমরা প্রতাপাদিত্য বলিয়া মনে করিতে পারি না। তিনি বার ভূ ইয়ার অন্ততম সুপ্রসিদ্ধ কেদার রায়।" নগেন্দ্র বাবুর সিদ্ধান্তই সমীচীন। অর্থাৎ প্রতাপাদিত্য ও কেদার রায় দুইজন পৃথক ব্যক্তি। মেঘনাথ বাবু “প্রতাপাদিত্যবিজয় ও শিলাদেবী আনয়ন ব্যাপার” ঘটিত আখ্যানের কথিত ‘বংশাবলী’ হইতে যে অনুবাদ করিয়া দিয়াছেন, তাঙ্গ এই স্থানে উদ্ধৃত করিয়া এই পত্রের কলেবর পুষ্ট করিতে ইচ্ছা করি না। উক্ত “বংশাবলীর” বিবরণ যে স্থূলতঃ প্রমাণা, তাহা অন্ত প্রমাণ দ্বার সমর্থন করিয়ু এই পত্রের উপসংহার করিব ।