পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ છા ] পরিবারবর্গকে এইরূপ উপদেশ দেওয়া ছিল যে, পারাবত উড়িয়৷ তাহাদের নিকটে গেলে চন্দ্রকেতুর বিপদ উপস্থিত হইয়াছে, ইহাই তাহার বিবেচনা করিবেন ও তৎক্ষণাৎ জলমগ্ন হইবেন। পীর সা কর্তৃক উৎপীড়িত হইয়া চন্দ্রকেতু পারাবত উড়াইয় দেন। পরিবারবর্গ পারাবত উপস্থিত হইতে দেখিয়া জলমগ্ন হন। যদিও তাহার পর চন্দ্রকেতু মুক্তিলাভ করিয়াছিলেন, তথাপি তিনি পরিবার বর্গের পথামুসরণ করেন। দেউলিয়া ও তন্নিকটবৰ্ত্তী স্থানে রাজা চন্দ্রকেতুর বাসভবনের চিহ্ন আছে। হাড়োয় নামক স্থানে পীর গোরাচাদের স্মৃতির জন্ত প্রতি বৎসর ফাঙ্কন মাসে একটি মেলা হইয়া থাকে। গোরাচাদ ও চন্দ্রকেতু সম্বন্ধে অনেক প্রবাদ প্রচলিত আছে । (২) পারস্য ভাষায় গ্রন্থিত আছে — প্রচলিত পারস্ত ভাষায় লিখিত ইতিহাসে প্রতাপাদিত্যের কোনই উল্লেখ দৃষ্ট হয় না। কিন্তু নিজামউদ্দীন আহাম্মদ রচিত তবকৎ-ই-আকবরীতে প্রতাপাদিত্যের পিতার উল্লেখ দুষ্ট হয়। রাজনাম নামে পারস্য গ্রন্থে প্রতাপাদিত্যের উল্লেখ আছে । উক্ত রাজনামার বিবরণ অবলম্বন করিয়া রাজা বসন্তরায়ের বংশজাত ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট সবডিভিসনের অন্তর্গত খোড়গাছি গ্রামনিবাসী স্বগীয় রামগোপাল রায় মহাশয় ৬০বৎসর পূৰ্ব্বে স্বরচিত সারতত্ত্ব তরঙ্গিণী নামক গ্রন্থে প্রতাপাদিত্যের বিবরণ স্বীয় বংশ পরিচয় কবিতায় প্রদান করিয়াছেন। ১৩১১ সালের আশ্বিন মাসের ঐতিহাসিক চিত্রে উক্ত কবিতা প্রকাশিত হইয়াছিল। এ গ্রন্থের পরিশিষ্টেও তাহ প্রদত্ত হইল। রায় মহাশয়ের রাজনামাখনি গৃহদাহে ভক্ষ্মীভূত হইয়া যায়। রাজনমার অনুসন্ধান হইলে প্রতাপাদিত্য সম্বন্ধে অনেক বিবরণ জানা যাইতে পারে। বসুমহাশয় কোন কোন পারস্ত গ্রন্থ দেখিয়াছিলেন তাহ জানিবার উপায় নাই । সম্ভবতঃ তিনি রাজনামাও দেখিয়া থাকিবেন। প্রতাপচন্দ্র ঘোষ