পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশোপনিষৎ । ভূমিকা । ওঁ তৎসৎ ৷ ভগবান বেদব্যাস ব্ৰহ্ম সুত্রের দ্বারা ইহা ব্যক্ত করিয়াছেন যে সমুদায় বেদ এক বাক্যতায় বুদ্ধি মন বাক্যের অগোচর যে ব্ৰহ্ম কেবল তঁহাকে প্ৰতিপন্ন করিতেছেন সেই সকল সুত্রের অর্থ সৰ্ব্ব সাধারণ লোকের বুঝিবার নিমিত্তে সংক্ষেপে ভাষাতে বিবরণ করা গিয়াছে এক্ষণে দশোপনিষৎ যে মূল বেদ ও যাহার ভাষ্য ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য করিয়াছেন তাহার বিবরণ সেই ভাষ্যের অনুসারেতে ভাষাতে করিবার যত্ন করা গিয়াছে সংপ্ৰতি সেই দশোপনিষদের মধ্যে যজুৰ্বেদীয় ঈশোপনিষদের ভাষা বিবরণকে ছাপান গেল আর ক্রমে ক্ৰমে যে যে উপনিষদের ভাষা বিবরণ পরমেশ্বরের প্রসাদে প্ৰস্তুত হইবেক তাহ পরে পরে ছাপান যাইবেক । এই সকল উপনিষদের দ্বারা ব্যক্ত হইবেক যে পরমেশ্বর এক মাত্ৰ সৰ্ব্বত্র ব্যাপী আমাদের ইন্দ্ৰিয়ের এবং বুদ্ধির অগোচর হয়েন তাহারি উপাসনা প্ৰধান এবং মুক্তির প্রতি কারণ হয়। আর নাম রূপ সকল মায়ার কাৰ্য্য হয়। যদি কহ পুরাণ এবং তন্ত্রাদি শাস্ত্ৰেতে যে সকল দেবতার উপাসনা লিখিয়াছেন সে সকল কি অপ্ৰমাণ আর পুরাণ এবং তন্ত্রাদি কি শাস্ত্ৰ নহেন। তাহার উত্তর এই যে পুরাণ এবং তন্ত্রাদি অবশ্য শাস্ত্ৰ বটেনী যেহেতু পুরাণ এবং তন্ত্রাদিতেও পরমাত্মাকে এক এবং বুদ্ধি মনের অগোচর করিয়া পুনঃ পুনঃ কহিয়াছেন। তবে পুরাণেতে এবং তন্ত্রাদিতে সাকার দেবতার বর্ণন এবং উপাসনার যে বাহুল্য মতে লিখিয়াছেন সে প্ৰত্যক্ষ বটে কিন্তু ঐ পুরাণ এবং তন্ত্রাদি সেই সাৎকার বর্ণনের সিদ্ধান্ত