পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እbሥ8 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী। সহগমন। ৫ । অতএব ব্ৰহ্মচর্য্যের প্রথম গ্ৰহণ দ্বারা ব্ৰহ্মচৰ্য্য বিধবার শ্ৰেষ্ঠ ধৰ্ম্ম হয়। কিন্তু জলচ্চিতারোহণে অসমর্থ যে স্ত্রী সে ব্ৰহ্মচৰ্য্য করিবেক, এই রূপ আপনার অর্থ কোনো শব্দ দ্বারা প্ৰতিপন্ন হয় না । এবং এ রূপ অর্থ কোনো পূৰ্বাচাৰ্য্যেরা লিখেন নাই, যেহেতুক মিতাক্ষরাকার র্যাহার বাক্য সর্বত্র প্রমাণ, এবং আপনিও যাহার প্রমাণ ২৭ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, তেঁহ এই সহমরণ প্রকরণে এই রূপ সিদ্ধান্ত করেন, যে মোক্ষার্থিনী না হইয়া অনিত্যাল্লি সুখ স্বৰ্গকে যে বিধবা ইচ্ছা করে, তাহার সহগমনে অধিকার, তথাহি ৷ অতশ্চ মোক্ষমনিচ্ছন্ত্যা অনিত্যাল্লিসুখারূপস্বৰ্গার্থিন্যা, অনুগমনং যুক্তমিতরকাম্যানুষ্ঠানবদিতি সৰ্বমনবন্তং । এবং স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য অঙ্গিরার এই বাক্য, যে ৷ নান্তোহি ধৰ্ম্মে বিজ্ঞেযে মৃতে ভৰ্ত্তরি ইত্যাদি ৷ অৰ্থাৎ সহমরণ ব্যতিরেকে বিধবাব অন্য ধৰ্ম্ম নাই, তাহাকে ঐ বিষ্ণু বচন দ্বারা সঙ্কোচ কবি। সহমরণ পক্ষ এবং সহমরণের অভাব পক্ষ উদয় পক্ষ বিধান করেন , তদ্যথা । নান্যোহি ধৰ্ম্ম ইতি তু সহমরণ তুল্যাৰ্থাৎ " তথাচ লিষ্ণু। মৃতে ভৰ্ত্তার ব্ৰহ্মচৰ্য্যং তদন্বারোহণম্বেতি ৷ দ্বিতীয়ত যে অবধি সংস্কৃত ভাষাতে শাস্ত্র রচনার আরম্ভ হইয়াছে, তদবধি কোন গ্ৰন্থকারেক, কি পণ্ডিতেরা আপনকার ন্যায় বাক্য প্রয়োগ কদাপি করেন নাই, যে স্বৰ্গ কামনা করিয়া কাম্য কৰ্ম্ম করিতে অসমর্থ যে ব্যক্তি হইবেক, তাহার মোক্ষ সাধনে অধিকার হয়, বরঞ্চ শাস্ত্রে সর্বত্ৰ কহিয়াছেন, যে মোক্ষ সাধনে অসমর্থ যাহারা হয়, তাহারা নিষ্কাম কৰ্ম্ম করিবেকা ; এবং অত্যন্ত মন্দমতি ব্যক্তিরা যদি মোক্ষের লালসা না রাখে, তবে কামনা পূর্বকও কৰ্ম্ম করিবেক। তদ্যথা বশিষ্ঠে ॥ যস্মিন্ন রোচতে জ্ঞানং অধ্যাত্ম্যং মোক্ষসাধনং । ঈশাপিতেন। চিত্তেন যজেন্নিষ্কাম কৰ্ম্মণ ॥ যে ব্যক্তির মোক্ষের কারণ যে আত্মজ্ঞান তাহতে প্ৰবৃত্তি না হয়, সে ব্যক্তি পরমেশ্বরাপিত চিত্ত হইয়া নিষ্কাম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিবেক ৷ মূঢ়া নাং