পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহমরণ বিষয় । Ro S) প্ৰতিকাবলম্বী যাহারা তাহারদের প্রতি এ বচনের অধিকার, অর্থাৎ নাম রূপাদি কল্পনা করিয়া যাহারা উপাসনা করে, শিবে ও বিষ্ণুতে ভক্তি না করিলে তাহারদের উপাসনা ব্যর্থ, এবং বাক্য অগ্ৰাহ । যেমন, কুলাৰ্ণবে। আমিষাসব্বসৌরভ্যহীনং যন্ত মুখং ভবেৎ। প্ৰায়শ্চিন্তী সবর্জ্যশ্চ পশুরেব ন সংশয়ঃ। যাহার মুখেতে মদিরা মাংসের সৌরভ নাই, সে প্ৰায়শ্চিৱী এবং ত্যাজ্য, ও সাক্ষাৎ পশু, ইহাতে সন্দেহ নাই। এ বচনের অধিকার তান্ত্রিকের প্রতি হয়, অতএব এসকল বচনের বিষয় অধিকারি ভেদে স্বীকার না করিলে শাস্ত্রের মীমাংসা হয় না । ঐ রূপ অধ্যাত্ম শাস্ত্ৰেও লিখেন, কঠশ্রশ্নতি ॥ ন হািঞবৈঃ প্ৰাপ্যতে হি ধ্রুবং তৎ। হস্তাদি বিক্ষেপের দ্বারা উৎপন্ন অনিত্য যে ক্রিয়া সকল সে নিত্য যে মোক্ষপদ তাহার প্রাপ্তির কারণ হয় না । তথা ৷ ধ্যায়ন্তে নাম রূপাণি যান্তি তন্ময়তাং জনাঃ । অধ্রুবান্দ্বস্তুজাতাদ্ধি ধ্রুবং নৈবোপজায়াতে ৷ যে সকল ব্যক্তি নাম রূপের উপাসনা করে, তাহারা নাম রূপময় হয়, যেহেতু অনিত্য বস্তু সমূহ হইতে নিত্য পদ প্ৰাপ্তি হইতে পারে না। তথা ৷ যোহন্যথা সন্তামাত্মানমন্যথা প্ৰতিপদ্যতে ৷ কিন্তেন ন কৃতং পাপং চোরেণাত্মাপহারিণী ॥ যে ব্যক্তি অপরিচ্ছিন্ন অতীন্দ্ৰিয় দিক্কাল আকাশের ন্যায় নিষ্কল সৰ্ব্বব্যাপি যে পরমাত্মা তাহাকে পরিচ্ছিন্ন ইন্দ্ৰিয় গোচর দিককাল আকাশের ব্যাপ্য কাম ক্ৰোধাদি যুক্ত জানে, সেই আত্মাপহারী চাের কি কি পাতক না। করিবেক, অর্থাৎ অতিপাতক, মহাপাতক, অনুপাতক, প্ৰভৃতি সকল পাপ তাহা হইতে নিষ্পন্ন হইল, অতএব এতাদৃশ পাপি ব্যক্তির বাক্য ধৰ্ম্ম নির্ণয়ে কদাপি গ্ৰাহী নহে। ইতি সপ্তম প্রকরণং। আপনি ২৮ পৃষ্ঠায় লিখেন, যেমন গ্রামের কিঞ্চিৎ দগ্ধ হইলে এবং পটের কিঞ্চিৎ দগ্ধ হইলে গ্রামদগ্ধ পটদগ্ধ এই রূপ শব্দ প্রয়োগ করা যায়, সেই রূপ চিতার এক অংশ জ্বলন্ত হইলে চিতাকে জলচ্চিতা কহিতে