পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহমরণ বিষয় । RGł ষষ্ঠ লেখেন। “ন বুদ্ধিভেদং জমায়েদজ্ঞানাং কৰ্ম্মসঙ্গিনাং” এই গীতার শ্লোকের তাৎপৰ্য্য লেখক কি স্থির করিয়াছেন ৷ উত্তর -বিপ্ৰনাম কিঞ্চিৎ শ্ৰম করিয়া ঐ শ্লোকের পরাদ্ধ দৃষ্টি করিলেই তাৎপৰ্য্য জানিতে পারিতেন, যেহেতু ঐ শ্লোকের পরাদ্ধে লিখেন ৷ “যোজয়েৎ সর্বকৰ্ম্মাণি বিদ্বান যুক্তঃ সমাচরন”। অর্থাৎ জ্ঞানবান ব্যক্তি আপনি কৰ্ম্ম করিয়া অজ্ঞানী কৰ্ম্ম সঙ্গিকে কৰ্ম্মে প্ৰবৰ্ত্তক হইবেন, যেহেতু জ্ঞানির নিষ্কাম কৰ্ম্ম দেখিয়া অজ্ঞানীও সেই প্ৰকার কৰ্ম্ম করিবেক, সুতরাং জ্ঞানির কদাপি কাম্য কৰ্ম্মে অধিকার নাই তাহার নিষ্কাম কৰ্ম্ম দেখিয়া অজ্ঞানীও চিত্ত শুদ্ধির নিমিত্ত নিষ্কাম কৰ্ম্ম করিবেক । কৰ্ম্ম সঙ্গিদের কি প্ৰকার কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য তাহা ভুরি স্থানে ঐ গীতাতে লিখিয়াছেন। (কৰ্ম্মাণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন ) তুমি কৰ্ম্ম করিতে পার কিন্তু কৰ্ম্ম ফলেতে তোমার অধিকার কদাপি নাই ৷ যজ্ঞার্থাৎ কৰ্ম্মণোহন্যত্ৰ লোকোহয়ং কৰ্ম্মবন্ধনঃ ॥ পরমেশ্বরের উদ্দেশ ব্যতিরেকে অর্থাৎ ফল কামনা করিয়া কৰ্ম্ম করিলে সে কৰ্ম্ম দ্বারা লোক বন্ধন প্ৰাপ্ত হয়। এবং স্মাৰ্ত্তধৃত ষষ্ঠস্কন্ধ বচন ॥ “স্বয়ং নিঃশ্রেয়সং বিদ্বানন বক্ত্যজ্ঞায় কৰ্ম্ম হি। ন রাতি রোগিণে পথ্যং বাঞ্ছতেপি ভিষকৃতমঃ” ॥ আপনি জ্ঞানবান ব্যক্তি অজ্ঞানকে সকাম কৰ্ম্ম করিতে উপদেশ করেন না, যেমন রোগী মনুষ্য কুপথ্য প্রার্থনা করিলেও উত্তম বৈদ্য কুপথ্য দেন না। এবং এই প্ৰমাণানুসারে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য ব্যবস্থা লিখেন, “পণ্ডিতেনাপি মুৰ্থঃ কাম্যে কৰ্ম্মণি ন প্ৰবৰ্ত্তযতব্যঃ” পণ্ডিত ব্যক্তি মূর্ধকে কাম্য কৰ্ম্মে প্ৰবৰ্ত্ত করিবেন না। কি আশ্চৰ্য্য বিপ্ৰনাম রাগান্ধ হইয়া এই দেশ প্ৰসিদ্ধ গ্রন্থেও মনোযোগ করেন না। সপ্তম লিখেন, “সহমরণোদির সঙ্কল্প বাক্যে ফলের উল্লেখ না করিয়া কাম্য কৰ্ম্ম করিলে সে কৰ্ম্ম অন্য কৰ্ম্মের ন্যায় চিত্ত শুদ্ধির কারণ হয় কি না”৷ উত্তর -প্ৰথমত স্বামীর সহিত স্বৰ্গভোগ কামনা ব্যতিরেকে