পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৩০

RNDo রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । মহাবল পরাক্রম বিপক্ষের তুল্য হয়েন তবে এ উদাহরণের তাৎপৰ্য্য এই যে সৰ্বকালেই দুৰ্জন ও সজ্জন আছেন। আর দুৰ্জ্জনের সর্বকালেই স্বভাব এই যে কোন ব্যক্তির প্রতি দোষ ও গুণ এই দুইয়েরি আরোপ করিবার সম্ভাবনা থাকিলে সেখানে কেবল দোষেরি আরোপ করে আর সজ্জনের স্বভাব তাহার বিপরীত হয় অর্থাৎ দোষ গুণ দুইয়ের সম্ভাবনা সত্ত্বে গুণেরি আরোপ করিয়া থাকেন। ঐ ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজিফর লিখিত যোগবশিষ্ঠ বচনে প্ৰাপ্ত হইতেছে যে যে ব্যক্তি বিষয় সুখে আসক্ত হয়। আর কহে যে আমি ব্ৰহ্মকে জানি সুতরাং সে ত্যাজ্য কিন্তু ইহা বিবেচনা কৰ্ত্তব্য যে ব্ৰহ্মনিষ্ঠ কদাপি এমত কহেন না যে ব্ৰহ্মকে আমি জানি অতএব যে এমত কহে সে অবশ্যই কৰ্ম্ম ব্ৰহ্ম উভয় ভ্ৰষ্ট এবং ভক্ত কশ্মির ন্যায় অধম হয় । কেনশ্রীকৃতিঃ ৷ “অবিজ্ঞাতং বিজানতাং বিজ্ঞাতমবিজানতাং” | অর্থাৎ যাহারা ব্ৰহ্মেবল অগোচর স্বরূপ নিশ্চয় করিয়াছেন তঁাহারা অবশ্যই কহেন যে ব্ৰহ্ম স্বরূপ জ্ঞেয় আমাদের নহে আর যাহারা ব্ৰহ্মকে না জানেন তাহার কাহেন যে ব্ৰহ্ম আমাদের জ্ঞেয় হয়েন। তবে দুৰ্জ্জন ও খলে অপবাদ দেয় যে তুমি আপনাকে ব্ৰহ্মজ্ঞানি কহিয়া অভিমান কর এ পৃথক কথা ৷ কোন এক বৈষ্ণব যে আপন বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের লক্ষাংশের একাংশ অনুষ্ঠান করে না ও বিপরীত ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিয়া থাকে সে যদি কোন শাক্তের স্বধৰ্ম্মানুষ্ঠানে ক্রিটি দেখিয়া তাহাকে ভাক্তশাক্ত কহে ও ব্যঙ্গ করে এবং কোন ব্ৰহ্মনিষ্ঠের স্বধৰ্ম্মানুষ্ঠানে ত্রুটি দেখিয়া তাহাকে ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী ও নিন্দিত কহে কিন্তু আপনাকে ভাক্ত বৈষ্ণব না মানিয়া ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাজকী এবং সৰ্ব্বজন হিতৈষী বলিয়া অভিমান করে তাহাকে বিজ্ঞ ব্যক্তিরা নিন্দকের মধ্যে অতিশয় নিন্দিত করিয়া জানিবেন কি না। জ্ঞান ও কৰ্ম্ম এই দুইকে সমানরূপে স্বীকার করিয়া এই পুর্বের পঙক্তি সকল লেখা গেল বস্তুতঃ কৰ্ম্ম ও জ্ঞান এ দুইয়ের