পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৪৯

পথ্য প্ৰদান । N8) প্ৰত্যুত্তর প্রকাশের দিবস সন ১২২৯ শাল ২০ মাঘ লিখেন। কিন্তু এনগরস্থ অনেক সজ্জনের নিকট প্রকাশ আছে যে বৈশাখ মাসে প্ৰত্যুত্তরের বিতরণ হয় ইতি ৷৷ ১২৩০, ১৫ই পৌষ ৷ সম্যগনুষ্ঠানাক্ষমতজ্জন্যমনস্তাপবিশিষ্টঃ ॥ L LSLSLS SLSLSLSLSLSLSLSL নমো জগদীশ্বরায় । প্ৰথমত তিন পৃষ্ঠের অধিক স্বীয় প্রশ্ন ও আমাদের দত্ত উত্তরের কিযদংশ লিখিয়া, ধৰ্ম্ম সংহারক চতুর্থ পৃষ্ঠে যে প্ৰত্যুত্তর দেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে সম্যগনুষ্ঠানাক্ষম আপনাকে ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী স্বীকার করিয়াছেন। অথচ ভাক্ত শব্দের অর্থ জানেন না “ইদানীন্তন কম্মিদের সন্ধ্যা বন্দনাদি ও নিত্য পূজা হােমাদি পিতৃ মাতৃ কৃত্য যাত্ৰ মহোৎসব জপ যজ্ঞ দান ধ্যান অতিথি সেবা প্ৰভৃতি শ্রুতি স্মৃতি বিহিত নিত্য নৈমিত্তিক কাম্য কৰ্ম্ম সর্বদা দর্শন ও শ্রবণ করিতেছেন তথাপি স্বয়ং প্ৰকৃত লক্ষণাক্ৰান্ত ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী হইয়া সম্পূর্ণ কিম্বা অসম্পূর্ণ কৰ্ম্মি সকলকে কোন শাস্ত্ৰ দৃষ্টিতে নিরপরাধে ভাক্ত কৰ্ম্মী কহিয়া নিন্দা করেন” ॥ উত্তর। —আমাদের পূর্ব উত্তরে কোনো ব্যক্তি বিশেষের নিয়ম ছিল না কেবল সাধারণ কথন আছে অর্থাৎ “কি ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী কি অভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী” “এক ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী ও এক ভাক্তকৰ্ম্মী” তাহার দ্বারা আমরা আপনাদের প্ৰতি কিম্বা অন্য কোনো অসম্পূর্ণ জ্ঞানির প্রতি ভাক্ততত্ত্বজ্ঞানী শব্দের উল্লেখ করিয়াছি। এমৎ উপলব্ধি দ্বেষ পরিপূর্ণ চিত্ত ব্যতিরেকে অন্যের কদাপি হয় না বিশেষত “সম্যগনুষ্ঠানাক্ষম” এই নাম গ্ৰহণই উত্তর প্ৰদাতার অসম্পূর্ণ জ্ঞানানুষ্ঠানকে ব্যক্ত রূপে জানাইতেছে অধিকন্তু ঐ উত্তরের ২৩০ পৃষ্ঠের ১৬ পংক্তিতে ঐ রূপ সাধারণ মতে লিখা আছে “যে