পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gb রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । জানা উচিত ছিল যে চারি যুগে চারি বর্ণ আছেন সেই রূপ তাঁহাদের মধ্যে উত্তম অধম পতিত ইহাও চারি যুগে হইয়া আসিতেছেন, তাহা পূর্ব পূৰ্ব্ব কালীন শাস্ত্ৰেই দৃষ্ট হইতেছে। মনুঃ ( যাবতঃ সংস্পৃশদন্নৈব্রাহ্মণান শূদ্ৰযাজকঃ । তবতাং ন ভবেন্দাতুং ফলং দানম্ভ পৌৰ্ত্তিকং) শূদ্র যাজক ব্ৰাহ্মণ যত ব্ৰাহ্মণের পংক্তিতে বসিয়া আহার করে, সে সকল ব্ৰাহ্মণেতে দান করিলে দাতার শ্ৰান্ধীর ফল প্ৰাপ্তি হয় না। টীকাকার কল্পকভট্ট শূদ্র শব্দ এস্থলে অসৎ শূদ্র অন্ত্যজাদি পর হয় এমৎ লিখেন নাই। প্ৰায়শ্চিত্ত বিবেকে, যমঃ ( পুরোধাং শূদ্ৰবৰ্ণস্য ব্ৰাহ্মণোয়ঃ প্ৰবৰ্ত্ততে। স্নেহদার্থপ্রসঙ্গাদ্বী তস্ত কৃচ্ছং বিশোধনং ) যে ব্ৰাহ্মণ স্নেহ প্ৰযুক্ত অথবা ধন লোভে শূদ্রবর্ণের পৌরোহিত্য ক্রিয়া একবারও করে সে ঐ পাপ ক্ষয়ের নিমিত্ত প্রাজাপত্য ব্ৰত করিবেক । এ বচনে সাক্ষাৎ শূদ্ৰবৰ্ণ প্ৰাপ্ত হইতেছে। এবং অযাজ্য যাজন প্ৰায়শ্চিণ্ডের প্রতিজ্ঞাতে ঐ বিবেককার লিখেন। ( অৰ্থ শূদ্রাতিরিক্তাযাজ্যযাজনপ্ৰায়শ্চিত্তং ) শূদ্র ভিন্ন অন্য অযাজ্য যাজনের প্রা.শ্চিত্ত কহিতেছি । ইহাতে শূদ্র ও শূদ্র ভিন্ন পতিতাদি উভয়ের অযাজ্যত্ব প্ৰাপ্ত হইতেছে। মিতাক্ষরাতেও লিখেন ( অতউপপাতকসাধারণপ্ৰায়শ্চিত্তং শূদ্ৰাদ্যযাজ্যযাজনে ব্যবতিষ্ঠাতে ) অর্থাৎ উপপাতক সাধারণের যে প্ৰায়শ্চিত্ত তাহার ব্যবস্থা শূদ্র প্রভৃতি অযাজ্য যাজনে জানিবে। এস্থলেও শূদ্রবর্ণ ও তদিতরের অযাজ্যত্ব প্ৰাপ্ত হইতেছে। শূদ্র যাজকের নির্দোষত্বে দ্বিতীয় প্রমাণ ধৰ্ম্ম সংহারক লিখেন যে “সৎ শূদ্র যাজী ও অশূদ্র যাজী ব্ৰাহ্মণেদের পরস্পর তুল্য রূপে মান্যমানকতা কুটম্বতা আহার ব্যবহার ও সর্বদেশেই হইতেছে”। উত্তর। — ইদানীন্তন ব্যবহার দেখিয়া মম্বাদি বচনের সঙ্কোচ করা এ ধৰ্ম্ম সংহারক হইতেই সম্ভবে, যেহেতু এই ব্যবস্থানুসারে ধৰ্ম্ম সংহারিক কহিবেন যে শুক্র বিক্রয়ী ও অশুক্র বিক্রয়ী উভয়ের পরস্পর মান্যমানকতা কুটম্বতা আহার