পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNR *শিশীবাহন রায়ের গ্রন্থাবলী। কোন কোন ব্যক্তি জ্ঞানযোগ ।' কোন ব্যক্তিরা তিন পুরুষ মেচেছর দাসত্ব করেন। দ্বারা যজন করে - محمے سمي ৩২াতে ধৰ্ম্ম সংহারক দাস শব্দের প্রয়োগ বিষয়ে তর্জন পূর্বক লিখিয়াছেন যে বেতন লইয়া কৰ্ম্ম যে করে তাহার প্রতি দাস শব্দের প্রয়োগ হইতে পারে না ইহার প্রমাণের নিমিত্ত মিতাক্ষরাধূত (শুশ্রুযকঃ পঞ্চবিধঃ) ইত্যাদি নারদ বচন উদাহরণ দিয়াছেন যাহার তাৎপৰ্য্য এই যে কৰ্ম্মকর চারি প্রকার, ও গৃহ জাত প্রভৃতি পঞ্চদশ প্রকার দাস হয়, পরে ২৪ পৃষ্ঠে লিখিয়াছেন যে, “এই সকল দেদীপ্যমান শাস্ত্ৰ সত্ত্বেও ইদানীন্তন রাজকীয় ব্যাপারে নিযুক্ত লোক সকলকে ভূতক কিম্বা অধিকৰ্ম্ম কৃত না করিয়া মেচ্ছের দাস এই শব্দ প্রয়োগ কৰ্ত্তাকে অপূর্ব পণ্ডিত কহ যায় কি না”। উত্তর -- গ্রন্থান্তরে দৃষ্টি করা ধৰ্ম্মসংহারককে উচিত ছিল। তবে অবশ্য জানিতেন যে দাস শব্দের প্রয়োগ সামাদ, রূপে ; ভূতক ও আজ্ঞাবাহের প্রতি ও হত; কিন্তু মিতাক্ষরাতে যে স্থলে। কৰ্ম্ম করে শব্দের সমভিব্যাহারে দাস শব্দের প্রয়োগ আছে সে স্থলে কৰ্ম্মকর ভিন্ন যে গৃহ জাতাদি পঞ্চ দশ প্রকার দাস তাহাকে স্ট্র বুঝায়। যেমন “গোবলীবর্দ” ইহাতে যদ্যপি গো শব্দ সামান্যত গাবী ও বালীবর্দ উভয়কেই কহে তথাপি বালীবর্দ শব্দের সাহচৰ্য্য প্রযুক্ত স্ত্রীগবীকেই এ স্থলে। বুঝায়, বস্তুতঃ সামান্য ভূতক এবং আজ্ঞাবাহেও দাস শব্দের প্রয়োগ শাস্ত্রে এবং মহাকবি প্ৰয়োগে প্ৰাপ্ত হইতেছে। সিদ্ধান্ত কৌমুদীর উনাদি প্রকরণে পঞ্চন পাদে কোশ প্রমাণ দিতেছেন (দাসঃ সেবকশুিদ্ৰযোঃ) সেবাকারি মাত্ৰকে এখানে দাস কহিয়াছেন (তমধীষ্টোভূতোভূত) ইত্যাদি পাণিনি সুত্রের ব্যাখ্যাতে ভূত শব্দের অর্থ স্মৰ্ত্তভট্টাচাৰ্য্য লিখেন যে (ভূতো ভূতিগৃহীতো দাসঃ) অর্থাৎ বেতন গ্ৰহণ পূর্বক যে কৰ্ম্ম করে তাহার প্রতি দাস শব্দের প্রয়োগ হয়, এবং মহাভারতে কৰ্ম্মকরের প্ৰতি ভীষ্মবাক্য (অর্থস্য পুরুষোদাসে দাসোহার্থে ন কস্যচিৎ। ইতি সত্যং মহারাজ বিদ্ধোন্মাৰ্থেন কৌরবে: ) পুরুষ অর্থের দাস কিন্তু অর্থ কাহার