পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbro রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । কিন্তু এ সকল জ্ঞান তত্ত্ব জ্ঞানিতে না হয়। সে গরুর গাধা অর্থাৎ অতি মূঢ়। আৰ্হিক তত্ত্ব ধৃত শাতাতপ বচন (অন্স, দেবা মনুষ্যাণাং দিবি দেবা মনীষিণাং। কাষ্ঠলোষ্টেযু মুখ্যাণাং যুক্তস্তাত্মনি। দেবতা ) জলেতে ঈশ্বর বোধ ইতর মনুষ্যের হয়। আর গ্ৰহাদিতে ঈশ্বর বোধ দৈবজ্ঞানির করেন। আর কাষ্ঠ লোষ্টাদিতে ঈশ্বর বোধ মুখেরা করে কিন্তু জ্ঞানীরা আত্মাতেই ঈশ্বর বোধ করেন। ঐ পৃষ্ঠা ৬ পংক্তিতে লিখেন যে “কোন দুৰ্জন দুগ্ধকে তক্র ও শর্করাকে বালুকা, চামরকে অশ্বলোম-কহিয়া নিন্দ করে ॥” উত্তর - অনেক দুৰ্জন এমত ছিলেন এবং আছেন যে উত্তমকে অধম কহিয়া থাকেন, সর্বদেবোত্তম মহাদেবকে দক্ষ কি দেবাধ্যম কহে নাই, আর তদুচিত শাস্তি সে নিন্দকের কি হয় নাই । পুনরায় লিখেন যে “কোন সুজনই বা তক্রকে দুগ্ধ ও বালুকাকে শর্কবা, অশ্বালামকে চামার-কহিয়া প্ৰশংসা করেন ৷” উত্তর - উত্তমের স্বল্পকে বৃহৎ ও ক্ষুদ্রকে মহৎ কহিয়া প্ৰশংসা করিয়াছেন, পুরাণে স্তুতিবাদ সকল তাহার প্রত্যক্ষ প্ৰমাণ হয়। মহাভারতের আদি পর্বে গরুড়ের প্রতি দেবতাদের উক্তি ( তত্বমন্তকঃ সৰ্ব্বমিদং ধ্রুবাঞবং ) হে গরুড় নিত্যানিত্য স্বরূপ সমুদায় জগৎ তুমি হও । বস্তুত পরনিন্দাই দুৰ্জনের জীবনোপায় হয়। আমরা প্ৰথম উত্তরে লিখিয়াছিলাম যে ব্রহ্মনিষ্ঠ এমত কহেন না যে আমি ব্ৰহ্মকে জানি অতএব যে এমত কহে সে অবশ্যই কৰ্ম্ম ব্ৰহ্ম উভয় ভ্ৰষ্ট হয়, এবং কেন শ্রুতি ইহার প্ৰেমাণ লিখিয়াছিলাম তাহাতে ধৰ্ম্মসংহারক ৫৯ পৃষ্ঠে ১২ পংক্তিতে লিখেন যে “এই কপট বাক্যের দ্বারা এই বোধ হয় কি না যে ভাক্ততত্ত্বজ্ঞানী মহাশয় আপনাকে আপনি ব্ৰহ্মজ্ঞানী কহিয়াছেন। অতএব তিনি উভয় ভ্ৰষ্ট ও ত্যাজ্য হয়েন কি না” ৷