পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । Sbra কনিষ্ঠাদি প্ৰভেদ পূর্বকালে ঋষিরা ও গ্ৰন্থকারের স্বীকার করিয়াছেন অতএব ইদানীন্তনও তাহা স্বীকার করিতে হইবেক । ৬৫ পৃষ্ঠের শেষ পংক্তি অবধি লিখেন যে “তঁহারা ( অর্থাৎ আমরা ) আপনারদিগকে না অধিকারাবস্থা না। সাধনাবস্থা না সিদ্ধাবস্থা এক অবস্থাও স্বীকার করিতে পরিবেন না ৷” উত্তর -আমরা আপনাদের সাধনাবস্থাই সর্বদা স্বীকার করি সেই সাধনাবস্থা অধিকারি ভেদে নানা প্রকার হয়। ভগবদগীতাতে ( অমানিত্বমদাস্তিত্বং ) ইত্যাদি পােচ বচন, যাহা ধৰ্ম্ম সংহারক ৬২ পৃষ্ঠের ১২ পংক্তি অবধি লিখিয়াছেন, অর্থাৎ মান ও দম্ভ ও রাগদ্বেষ ত্যাগ ও বিষয় সকলে বৈরাগ্য ও ইষ্ট, অনিষ্ট উভয়েতে সমভাব ইত্যাদি বিশেষণাত্ৰান্ত কোনো কোনো সাধক হয়েন । এবং ঐ ভগবদগীতাতে লিখেন (সুক্ত: কৰ্ম্মফলং ত্যক্ত শান্তিমাপ্নোতি নৈষ্ঠিকীং । অযুক্তঃ কামকারেণ। ফলে সক্তো নিবধাতে ) অর্থাৎ ঈশ্বরৈকনিষ্ঠ হইয়া ফলত্যাগ পূর্বক অগ্নিহাে লাদি কৰ্ম্ম করিয়া নৈষ্টিকী শান্তি যে মুক্তি তাহা প্ৰাপ্ত হয়েন, ঈশ্বর বহিমুখ ব্যক্তি ফল কামনা পূর্বক কৰ্ম্ম করিয়া নিতান্ত বদ্ধ হয়। এই রূপ নিষ্কাম কৰ্ম্মানুষ্ঠান বিশিষ্ট কোনো কোনো সাধক হয়েন। ভগবদগীতাতে ভুরি সাধনের উপদেশের পরে গ্ৰন্থশেষে ভগবান পুনরায় সাধনান্তরের উপদেশ দিতেছেন ( সৰ্ব্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ। অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মাশুচ: ) সকল ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া আমি যে এক আমার শরণ লও, বৰ্ণাশ্রমাচার ধৰ্ম্মত্যাগ করিলে তোমার যে পাপ হইবেক সে সকল পাপ হইতে আমি তোমায় মোচন করিব।” ভগবান মনুও তাবৎ বর্ণাশ্রমাচার কহিয়া গ্ৰন্থ শেষে ইহারি তুল্যাৰ্থ বচন কহিয়াছেন (যথোক্তন্যপি কৰ্ম্মাণি পরিহায় দ্বিজোত্তম। আত্মজ্ঞানে শমে চ স্যাৎ বেদাভ্যাসে চ যত্নবান। এতদ্ধি জন্মসাফল্যং ব্ৰাহ্মণস্তি বিশেষতঃ। প্ৰাপ্যৈতাৎ কৃতকৃত্যোহি দ্বিজোতদ্বতি নান্যথা ) পূৰ্ব্বোক্ত