পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৮৮

রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । سراسرامS কৰ্ম্ম সকলকে ত্যাগ করিয়াও আত্ম জ্ঞানে ও ইন্দ্ৰিয় নিগ্ৰহে ও প্রণব উপনিষদাদি বেদাভ্যাসে ব্ৰাহ্মণ যত্ন করিবেন, আত্মজ্ঞান ও বেদাভ্যাস ও ইন্দ্ৰিয দমন দ্বারা ব্ৰাহ্মণ ও ক্ষত্ৰিয় এবং বৈশ্য এ সকলের, বিশেষত ব্ৰাহ্মণের, জন্ম সফল হয় যেহেতু এই অনুষ্ঠান করিয়া দ্বিজাতিরা কৃতকৃত্য হয়েন, অন্য প্রকারে কৃতকৃত্য হয়েন না ৷ আর কোন কোন ব্রহ্মনিষ্ঠ অথচ গৃহস্থ সাধকের পরের লিখিত বিশেষণাত্ৰান্ত হয়েন, গীতা ( শব্দদীন্বিষযানন্যে ইন্দ্ৰিয়াগ্নিষু জুহ্বতি) অর্থাৎ বিষয় ভোগ কালেও আত্মাকে নির্লিপ্ত জানিয়া ইন্দ্ৰিয়ের কৰ্ম্ম ইন্দ্ৰিয়ই করেন এই নিশ্চয় করিয়া স্থিতি করেন। ইহারি তুল্যাৰ্থ বচনকে বিশেষ রূপে ভগবান মনুঃ গৃহস্থ ধৰ্ম্মের প্রকরণে লিখিয়াছেন, ৪ অধ্যায়ে ২২ শ্লোক ( এতানেকে মহাযজ্ঞান যজ্ঞশাস্ত্ৰবিদ্যোজনাঃ । অনীহমানাঃ সততমিন্দিয়েম্বেব জুহ্বতি ) অর্থাৎ যে সকল ব্ৰহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থের বাহ এবং অন্তর যজ্ঞানুষ্ঠানের শাস্ত্ৰকে জানেন র্তাহারা বাহো কোনো যজ্ঞাদির চেষ্টা না করিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞানের অভ্যাস দ্বারা চক্ষুঃ শ্রোত্ৰ প্ৰভৃতি যে ”।াচ ইন্দ্ৰিয় তাহার রূপ শব্দ প্ৰভৃতি পাচ বিষয়কে ংযম করিয়া পঞ্চ {{জ্ঞকে সম্পন্ন করেন ৷ পুনরায় অন্য সাধনের প্রকার গীতাতে কহে, “(অপানে জুহ্বতি প্ৰাণং প্ৰাণোহপানং তথাহপরে। প্ৰাণাপানগতী রুদ্ধ প্রাণায়ামপরায়ণা: ) অর্থাৎ কোন কোন ব্যক্তি পূরক ও কুম্ভক ও রেচক ক্রমে প্ৰাণায়াম রূপ যজ্ঞ পরায়ণ হয়েন। এস্থলে স্বামিধুত যোগশাস্ত্ৰ বচন (সঃ কারেণ বহির্যাতি হং কারেণ বিশেৎ পুনঃ । প্ৰাণাস্তাত্র সংএবাহমহং সাইতি চিন্তয়েৎ) অর্থাৎ নিশ্বাসের সময় প্ৰাণ বায়ু সঃ কহিয়া বহিৰ্গমন করেন, প্ৰশ্বাসের সময় হং কহিয়া প্ৰবিষ্ট হয়েন, অতএব সোহং হঃ সঃ, ইত্যারি চিন্তন সাধক করিবেক ॥” ভগবান মনু ঐ গৃহস্থ ধৰ্ম্ম প্রকরণে তত্ত্ব ল্যাৰ্থ বচন কহিতেছেন ২৩ শ্লোক (বাচােকে জুহ্বতি প্ৰাণং প্ৰাণে বাচঞ্চ সৰ্ব্বদা। বাচি প্ৰাণে চ পশ্যন্তে যজ্ঞনিবৃতি