পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । ՀԵ՞Տ মক্ষয়াং ) অর্থাৎ কোন কোন ব্ৰহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থ পঞ্চ যজ্ঞস্থানে বাক্যেতে নিশ্বাসের বহন করাকে ও নিশ্বাসে বাক্যের বহন করাকে অক্ষয় ফলদায়ক যজ্ঞ জানিয়া বাক্যেতে নিশ্বাসের বহন আর নিশ্বাসে বাক্যের বহন করেন | পুনরায় অন্য সাধন প্রকার গীতাতে লিখিয়াছেন ( “ব্ৰহ্মাগ্নাবপরে যজ্ঞঃ যজ্ঞেনৈবোপজুহ্বতি ) কোন কোন ব্যক্তি ব্ৰহ্মরূপ অগ্নিতে ব্ৰহ্মাৰ্পণরূপ যজ্ঞ দ্বারা যজন করেন ৷ ভগবান মানুঃ ২৪ শ্লোকে ততুল্যাৰ্থ লিখেন। ( জ্ঞানেনৈব্যাপরে রিপ্রো যজন্ত্যেতৈত্মখৈঃ সদা । জ্ঞানমূলাং ক্রিয়ামেষা” পশ্যন্তো জ্ঞানচক্ষুষা । ) কোন কোন ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থেরা গৃহস্থের প্রতি যে যজ্ঞ শাস্ত্ৰে বিহিত আছে তাহা সকল ব্ৰহ্ম জ্ঞানের দ্বারা নিস্পন্ন করেন। র্তাহারা জ্ঞান চক্ষুদ্বারা অর্থাৎ উপনিষদের দ্বারা জানিতেছেন যে পঞ্চ যজ্ঞাদি সকল ব্ৰহ্মাত্মক হয়েন ৷ ইহার উপসংহারে ভগবান কল্পকভট লিখেন যে ( শ্লোকত্ৰয়েণ ব্রহ্মনিষ্ঠানাং বেদসংন্যাসিনাং গৃহস্থানামামী বিধয়ঃ ) বেদোক্ত কৰ্ম্মানুষ্ঠানত্যাগী অথচ ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থদের প্রতি এই সকল বিধি কহিলেন । জ্ঞান প্ৰতিপত্তির নিমিত্ত নানাবিধ সাধন কহিলেন ইহার প্রত্যেকেতে উত্তম মধ্যম কনিষ্ঠ সাধক হইয়া থাকেন। বৈষ্ণব শাস্ত্ৰেও সেই রূপ মোক্ষেপায় সাধন নানা প্রকার লিখিয়াছেন, শ্ৰীভাগবতে একাদশস্কন্ধে ২৯ অধ্যায় ১৯ শ্লোক ( সৰ্ব্বং ব্ৰহ্মাত্মকং তস্য বিদ্যয়াত্মমনীষীয়াঃ । পরিপশুন্ন পরমেৎ সৰ্ব্বতোমুক্তসংশয়ঃ। অয়ং হি সৰ্ব্বকল্পনাং সমীচীনোমতোমম।। মদ্ভাব্যং সৰ্ব্বভুতেষু মনোবাকাকায়বৃত্তিভিঃ } সর্বত্র ঈশ্বর ব্যাপ্ত আছেন এই অভ্যাসের দ্বারা প্ৰাপ্ত হয় যে জ্ঞান তাহা ত সকল জগৎ ব্ৰহ্মাত্ম বোধ হয়, অতএব যখন সৰ্ব্বত্র ব্ৰহ্ম দৃষ্টি রূপ জ্ঞানের স্থিরত্ব হইল তখন সংশয় হীন হইয়া ক্রিয়ামাত্র হইতে নিবৃত্ত হইবেক । যদ্যপিও মোক্ষ সাধনে নানা উপায় আছে কিন্তু মনোবাক্য কায় এ সকলের দ্বারা সর্বত্র ঈশ্বর দৃষ্টি ইহা সকল উপায় হইতে শ্রেষ্ঠ S.