পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSdR রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । লক্ষণ ( তেষাং সততযুক্তানাং ভজতাং প্রীতিপূর্বকং। দদামি বুদ্ধিযোগং তং যেন মামুপয়ান্তি তে ৷ তেষামোবানুকম্পার্থমহমজ্ঞানজং তমঃ। নাশিয়াম্যাত্মিভাবস্থে জ্ঞানদীপেন ভাস্বত ) অর্থাৎ এইরূপ নিরন্তর উদযুক্ত হইয়া প্রতি পূর্বক ভজন র্যাহারা করেন তাহাদিগকে আমি সেই জ্ঞানরূপ উপায় প্ৰদান করি। যাহাতে তাহারা আমাকে প্ৰাপ্ত হয়েনি। তঁহাদের প্রতি অনুগ্ৰহ করিয়া তাঁহাদের বুদ্ধিতে অবস্থান পূর্বক অজ্ঞান জন্য যে অন্ধকার তাহাকে দেদীপ্যমান জ্ঞান রূপ দীপের দ্বারা নষ্ট করি। অর্থাৎ তাহাদিগকে জ্ঞান প্ৰদান করিয়া মুক্তি দিই। এখন ঐ বিজ্ঞ ব্যক্তিরাই দেখিবেন যে ভগবানের দত্ত তত্ত্বজ্ঞান যাহা ভক্তির সিদ্ধাবস্থায় প্রাপ্ত হয় তাহার দ্বারা ধৰ্ম্ম সংহারকের সর্বত্র ভগবদ্দৃষ্টি হইয়াছে কি না । সুতরাং ইহার কোনো এক অবস্থা স্বীকার করিলে তঁহার মতেই তাহার নিস্তার নাই, অর্থাৎ পূর্বোক্ত প্রমাণে না অধিকারাবস্থা না। সাধনাবস্থা না সিদ্ধাবস্থা ইহার এক অবস্থা ও স্বীকার করিতে পরিবেন না। যদি এরূপ কহোন যে “পূর্ব পর্ব বচনে বিষ্ণুভক্ত বিষয়ে যে সকল বিশেষণ অধিকারাবস্থার ও সাধনাবস্থার কহিয়াছেন সে উত্তম অধিকারী ও উত্তম সাধকের প্রতি হয়। কিন্তু ব্যক্তি- এভেদে সাধনাবস্থা উত্তম মধ্যম কনিষ্ঠ ইত্যাদি নানা প্ৰকাব হয়।” তবে ধৰ্ম্ম সংহারকই বিবেচনা করিবেন যে এরূপ কথন প্ৰতীক ও অপ্ৰতীক উভয় উপাসনাতে নির্বাহের কারণ হইবেক এবং শাস্ত্রের ও অপলাপ হইবেক না। যথা মাণ্ডুক্যভাষ্য ধৃত কারিকা ( আশ্রমাস্ট্রিবিধাহীনমধ্যমোৎকৃষ্টদৃষ্টয়ঃ) অর্থাৎ আশ্রমির তিন প্রকার হয়েন, হীন দৃষ্টি, মধ্যম দৃষ্টি, উত্তম দৃষ্টি৷ আমরা পূর্ব উত্তরে লিখিয়াছিলাম যে কোন এক বৈষ্ণব যে আপন ধৰ্ম্মের লক্ষাংশের একাংশও অনুষ্ঠান করেন না ও বিপরীত ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিয়া থাকেন। তিনি যদি কোন ব্ৰহ্মনিষ্ঠের ক্ৰটি দেখিয়া তাহাকে ভাক্ত