পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRS8 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । করেন ৷ বৈষ্ণব শাস্ত্রেও স্ব স্ব অধিকারে পৃথক পৃথক পাপ ক্ষয়ের উপায় যাহা কহিয়াছেন তাহাও লিখিতেছি, শ্ৰীভাগবত একাদশস্কন্ধ, বিংশতি অধ্যায় ২৬ শ্লোক (যদি কুৰ্য্যাৎ প্রমাদেন যোগী কৰ্ম্ম বিগৰ্হিতং। যোগেনৈব দহেদঙঘোনান্যত্তাত্ৰ কদাচন। স্বে স্বেধিকারে যানিষ্ঠা সগুণঃ পরিাকীৰ্ত্তিতঃ) স্বামী, যদি প্ৰমান্দেতে জ্ঞাননিষ্ঠ ব্যক্তি গৰ্হিত কৰ্ম্ম করে সেই পাপকে জ্ঞানাভ্যাসের দ্বারা দগ্ধ করিবেক তাচার অন্য প্ৰায়শ্চিত্ত নাই ৷ স্বামীর অবতরণিকা, পরশ্লোকে, শাস্ত্ৰে কথিত প্ৰায়শ্চিত্ত ব্যতিরেক জ্ঞান যোগে কি রূপে পাপক্ষয় হইবেক অতএব এই আশঙ্কা নিবারণার্থে পনের শ্লোকে কহিতেছেন, আপনি আপন অধিকারে যে নিষ্ঠ তাহাকে গুণ কহি এক অধিকারে অন্য প্ৰায়শ্চিত্ত যুক্ত হয় না ৷ এস্থলে জিজ্ঞাস্য এই যে ধৰ্ম্মস’ তারকের লিখিত কাশীখণ্ড প্ৰভৃতির বাঢ়ন। যদি যথার্থবিদ হইয়া দেবতা প্রভৃতির নাম গ্ৰহণাদি সাধনাব ত্রুটি জন্য দোষ ও অন্য কুকৰ্ম্ম জন্য পাপক্ষয়ের কারণ হয়, তবে পূৰ্বেব লিখিত গীতাদি বচনের প্রামাণ্য দ্বারা জ্ঞাননিষ্ঠদের পাপক্ষয়ের উপায় জ্ঞানাভ্যাস অবশ্যই হইবেক, ইহা ধৰ্ম্ম সংহারক। যদি স্বীকার না করেন। কিন্তু পণ্ডিত ব্যক্তিরা অবশ্য অঙ্গীকার করিবেন । ৭৮ পৃষ্ঠে এক পংক্তি অবধি লিখেন যে “যদ্যপিও জ্ঞানের প্রাধান্য মন্বাদি বচনে কথিত আছে তথাপি কৰ্ম্ম ব্যতিরেকে জ্ঞান হইতে পারে না” আর ইহার প্রমাণের নিমিত্ত ( ন কৰ্ম্মণামনারম্ভিান্নৈষ্কৰ্ম্ম্যং পুরুষোশ্নাতে) ইত্যাদি ভগবদগীতার বচন লিখিয়াছেন। উত্তর।—যদি এস্থলে এমত অভিপ্রেত হয় যে ঐহিক কৰ্ম্ম ব্যতিরেকে জ্ঞান হইতে পারে না তবে এ সৰ্ব্বথা অগ্ৰাহ যেহেতু এরূপঃব্যবস্থা তাবৎ শাস্ত্রের বিরুদ্ধ হয়, বেদান্তের প্রথম সুত্রের ব্যাখ্যায় প্ৰথমে প্রশ্ন করেন যে “কাহার অনন্তর ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসা হয়” এই আকাঙ্ক্ষাতে ভগবান ভাষ্যকার আদৌ। আশংকা