পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rSoV) ८छ् दूद्ध গ্ৰন্থাবলী প্ৰথমাধ্যায়ের প্রথম পাদের ৩০। সুত্রে করিয়াছেন। আশঙ্কা এই উপস্থিত হইয়াছিল যে কৌষীতকি ব্ৰাহ্মণোপনিষদে ইন্দ্র আপনাকে পরব্রহ্ম স্বরূপে উপদেশ করেন ( প্ৰাণোহস্মি প্রজ্ঞাত্মা তং মামায়ুর মৃতমিতুপাস্বা) জ্ঞান স্বরূপ জীবন দাতা ও মরণ শূন্য যে ব্ৰহ্ম তাহা আমি হই আমার উপাসনা করহ। ( মামেব বিজানীহি ) কেবল আমাকেই জান। এ সকল শ্রুতি পরব্রহ্মের বিশেষণকে কহিতেছেন। কিন্তু ইন্দ্ৰ ইহার বক্তা, অতএব ইন্দ্রের পরব্রহ্মত্ব এ সকল শ্রুতি দ্বারা প্ৰতিপন্ন হয়, এই আশঙ্কার নিরাস পরের সূত্রে করিতেছেন। ( শাস্ত্রদৃষ্টা তৃপদেশে বামদেববৎ ) ৩০ । ইন্দ্র এস্থলে “অহংক্রহ্ম।” এই শাস্ত্র দৃষ্টি দ্বারা আপনাকে পরব্রহ্ম স্বরূপ জানিয়া কহিয়াছেন “যে আমাকেই কেবল জান”, “আমার উপাসনা কর” যেমন বামদেব ঋষি আপনাকে সাক্ষাৎ পরব্রহ্ম স্বরূপে ‘উপদেশ করিয়াছেন। এতিঃ। ( অহং মনুরভবং সুৰ্য্যশ্চেতি ) বামদেব কহিতেছেন যে, “আমি মনু হইয়াছি ও সুৰ্য্য হইয়াছি।” কিন্তু ঐ অধ্যাত্ম উপদেশের মধ্যে ইন্দ্ৰ উপাধি বশে পােনরায় ভেদ দৃষ্টিতেও আপনাকে কহিতেছেন (ত্রিশীৰ্ষণং "ত্বাঞ্ছমহনং ) ত্রিশীর্ষ যে বৃত্ৰাসুরের জেষ্ঠ বিশ্বরূপ তাহাকে আমি নষ্ট করিয়াছি। অর্থ”- এরূপ ক্ৰীৱ কাৰ্য্য সকল করিয়াও আত্মজ্ঞান বলে আমার কিঞ্চিৎ মাত্ৰ হানি হয় না। বস্তুত ঐ সকল পরমাত্ম প্ৰতিপাদক শ্রীতির বক্তা ইন্দ্ৰ হইয়াছেন, অথচ তাহাতে পরিচ্ছেদ বিশিষ্ট যে ইন্দ্ৰ স্বর্তাহার সাক্ষাৎ পরব্ৰহ্মত্ব প্ৰতিপন্ন হয় না, কিন্তু অপরিচ্ছিন্ন পরমেশ্বরে তাৎপৰ্য্য হয়। সেই রূপ ভগবান কপিলও অধ্যাত্ম উপদেশে কহিতেছেন, শ্ৰীভাগবতে ৩ স্কন্ধে ২৫ অধ্যায়ে (বিসৃজ্য সর্বানন্যাশ্চ মামেবং বিশ্বতে মুখং । ভজন্ত্যনন্যয়া ভক্ত্যা তান মৃত্যেরতিপারয়ে) অর্থাৎ তাবৎ অন্যকে পরিত্যাগ করিয়া আমি যে বিশ্ব স্বরূপ আমাকে যে ব্যক্তি অনন্য ভক্তির দ্বারা ভজন করে তাহাকে আমি সংসার হইতে তারণা করি। এ