পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2थंJ (zां । WJSS) সঙ্করের দ্বারা পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করিয়া পুনরায় মহাদেবের কোপকে উদ্দীপ্ত করিলোক, আর তাহার সঙ্গী যে সকল অসুর ছিল তাহারা মনুষ্য বেশ ধারণ করিয়া ঐ ত্রিপুরের তিন অবতারকে ভজনা করিলেক ঐ সকলের মধ্যে কেহ কেহ মহাপাতকী, অতি পাতকী, উপপাতকী, অনুপাতকী ; আর কেহ কেহ সৰ্ব্ব পাপযুক্ত ছিল তাহারা বৈষ্ণব বেশ ধারণ করিয়া অনেক সরলান্তঃকরণ লোককে মায়ারূপ অন্ধকারের দ্বারা মুগ্ধ করিয়াছে, সেই ত্রিপুরের প্রথম অংশকে সাক্ষাৎ বিষ্ণু, দ্বিতীয় অংশকে শেষ স্বরূপ বলরাম, তৃতীয় অংশকে মহাদেব রূপে তাহারা বিখ্যাত করিলেক । ইহা শ্ৰবণ করিয়া বটুক কহিলেন যে কি উপায়ের দ্বারা ত্রিপুরাসুর পুনরায় পৃথিবীতে জন্ম গ্ৰহণ করে ও তাহার সঙ্গী কে কে ছিল তাহা বিস্তার করিয়া আমাকে কহ ৷ গ্ৰন্থ বাহুল্য ভয়ে তাবৎ প্রকরণ লেখা গেল না, র্যাহাঁদের অধিক জানিতে বাসনা হয়। ঐ মূল গ্ৰন্থ অবলোকন করিবেন ; এ গ্রন্থের প্রসিদ্ধ টীকা নাই এবং এ সকল বচন প্ৰসিদ্ধ সংগ্ৰহকারের ধূত নহে এ নিমিত্ত আমাদের এবং তাবৎ পণ্ডিতেদের নিয়মানুসারে এ সকল বচনকে লিখিতে বাসনা ছিল না। কিন্তু ধৰ্ম্মসংহারক লেখাইলে কি করা যায়। ৯৯ পৃষ্ঠে ১৬ পাক্তিতে নিগুঢ় শাস্ত্রের অর্থ করেন যে “বহু বিজ্ঞজনের অগোচর যে শাস্ত্ৰ তাহার নাম নিগুঢ় শাস্ত্ৰ” পরে ১০০ পৃষ্ঠে ৪ পংক্তিতে কহেন “যে নিগুঢ় শাস্ত্রের অনুসারে অভক্ষ্য ভক্ষণ অপেয় পান ও অগম্য গমন ইত্যাদি সৎকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিতেছেন সে নিগুঢ় শাস্ত্রের নাম কি ৷” উত্তর -ধৰ্ম্মসংহারকের এই লক্ষণ দ্বারা সম্প্রতি জানা গেল যে চরিতামৃতই নিগুঢ় শাস্ত্র হয়েন যেহেতু পণ্ডিত লোক সমাগমে চরিতামৃতে ডোর পড়িয়া থাকে তাহার কারণ এই যে বহু বিজ্ঞ জনের বিদিত না হয়, ও পঙ্গতে অভক্ষ্য ভক্ষণাদি ও উপাসনায় অগম্যাগমন বর্ণন ঐ চরি