পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WOOV) রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । শ্ৰীধর স্বামী সত্ত্ব প্রধান ব্ৰাহ্মণ হয়েন এই বিবরণ করিয়াছেন, এবং গীতার অষ্টাদশাধ্যায়ে লিখেন (শমোদমস্তপ: শৌচং ক্ষান্তিরাজ্জীবমেব চ। জ্ঞানং বিজ্ঞানমাস্তিক্যং ব্ৰহ্মকৰ্ম্ম স্বভাবজঃ), শম, দম, তপস্তা, শুচিতা, ক্ষমা, সরলতা, শাস্ত্রার্থ জ্ঞান, অনুভব, আস্তিক্য বৃদ্ধি, এ সকল সত্ত্বগুণ প্ৰধান যে ব্ৰাহ্মণ র্তাহাদের স্বাভাবিক কৰ্ম্ম হয়। অতএব সাংখ্যমন্তীয় অগস্ত্য সংহিতা বচনের স্পষ্টাৰ্থ এই যে যদ্যপিও যন্ত্ৰীয় হিংসা কৰ্ত্তব্য হইয়াছে তথাপি ব্রাহ্মণের সাত্ত্বিক হাসেন ও শমদমাদি তাঁহাদের কৰ্ম্ম একারণ বৈধ হিংসা ও তাঁহাদের কৰ্ত্তব্য নহে। অতএব এরূপ মুখ্য স্পষ্টার্থের সম্ভাবনা সত্ত্বে বিপরীতার্থের কল্পনা যে নিপুণমতি করিয়াছেন তিনি ধৰ্ম্মসংহারক কিম্বা তাহার সহায় হইবেন ; অধিকন্তু ব্ৰহ্মনিষ্ঠের প্রতিও বিহিত হিংসার নিষেধ নাই, ছন্দোগ্য শ্রুতিঃ (আত্মনি সৰ্ব্বেন্দ্ৰিয়াণি সংপ্ৰতিষ্ঠাপ্যাহিংসন সৰ্ব্বা ভীতানি অন্যত্র তীর্থেভ্যঃ) পরমাত্মাতে ইন্দ্ৰিয় সকল সংযোগ করিয়া বিহিত ব্যতিরেকে হিংসা করিবেন না। এবং পুরাণ ইতিহাসেতেও বশিষ্ঠ ব্যাস, প্ৰভৃতি জ্ঞানী বা সিাহিত হিংসা ও বিহিত মাংসাদি ভোজন আপনার করিয়াছেন ও জনক যুধিষ্ঠির প্রভৃতি যজমানকে অশ্বমেধাদি হিংসাযুক্ত কৰ্ম্ম করাইয়াছেন, এখ, কাপ মহাকাল সংহিতার ঐ বচন সাংখ্যমতান্তৰ্গত হয় বিশেষত ঐ বচন বলিদান প্ৰকারণে লিখিত হইয়াছে ইহাতেও তাবৎ বৈধহিংসার অনুকল্পের অনুমতি বোধ হয় নাই । ১৩৯ পৃষ্ঠে পদ্মপুরাণ ও ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তের বচন লিখেন, তাহাতেও বৈধ হিংসার নিষেধ নাই কেবল জীবনাৰ্থ ও স্বভক্ষণার্থ নিষিদ্ধ করিয়াছেন। ইহা সর্বশাস্ত্ৰ সিদ্ধান্ত সম্মত বটে। ১৪৫ পৃষ্টের শেষে লিখেন যে “কখন ভাক্ততত্ত্বজ্ঞানী কখন বা ভাক্ত বামাচারী” এবং ১৩০ পৃষ্ঠেও এই রূপ পুনঃ পুনঃ কথন আছে, কিন্তু ধৰ্ম্মসংহারকের এরূপ লিখিবাতে আশ্চৰ্য্য কি যেহেতু তাহার এ বোধও