পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । NO8) জন্ম মৃত্যু কহ যায় না”। উত্তর -এ প্রমাণ বটে যে কি জীবের কি ভগবান রামকৃষ্ণ প্রভৃতির “পরমাৰ্থ বিবেচনায় জন্ম মৃত্যু কহা যায় না।” তবে কি প্রকারে ১৪১ পৃষ্ঠে ৭ পংক্তিতে ধৰ্ম্মসংহারক লিখিলেন যে “ভগবানের জনন ও মরণ কি প্রকারে অযথার্থ কহি যায়” এখন বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বিবেচনা করিবেন যে আমরা লিখিয়া ছিলাম যে ধৰ্ম্ম সংহারক পরমেশ্বৰে জন্ম মৰণাদি দোষ যথার্থ বোধে দিতে পারেন তাহ তাতাদেরই প্ৰথম বাক্যানুসারে প্রমাণ হইল কি না । ভগবদগীতা শ্লোকের অর্থকে যে অন্যথা কল্পনা করিয়াছেন তাহার যথার্থ বিবরণ লিখা আবশ্যক জানিয়া লিখিতেছি ( বহনি মে ব্যতীতানি ) এই শ্লোকের ব্যাখাতে ১৪১ পৃষ্ঠে ১৫ পংক্তিতে লিখেন যে “আমি মায়া বহিত একারণ আমার সকল স্মরণ হয়।” কিন্তু শ্ৰীপরাস্বামী লিখেন যে ( অলুপ্তবিদ্যাশক্তিত্বাৎ ) অর্থাৎ আমার বিদ্যা মায়া, যাহার প্রকাশ স্বভাব হয়, সুতরাং আমার সকল স্মরণ হয় । এবং ইহার পর প্লোকে স্পষ্টই কহিতেছেন { প্ৰকৃতিং স্বামধিষ্ঠায় সম্ভব।াম্যাত্মিমাযায় ) আমি শুদ্ধ সত্ত্ব স্বরূপ আপন মায়াকে স্বীকার করিয়া শুদ্ধ ৫ তেজস্বি সত্ত্বাত্মক মূৰ্ত্তি বিশিষ্ট হইয়া অবতীর্ণ হই । অতএব মূৰ্ত্তি যদ্যপি ও বিশুদ্ধ, তেজস্বি, সম্মুগুণাত্মক জয়েন, তথাপিও সে মায়াকাৰ্য্য। এবং ঐ অর্থকে আরো দঢ় করিতেছেন শারীরিক ভাষ্যধূত স্মৃতি ( মায়া হােষা ময়া সূচষ্টা যন্মাং পশ্যসি নারদ ৷ সৰ্ব্বভুত গুণৈযুক্তং নৈবং মাং জ্ঞাতুমৰ্হসি ) হে নারদ সৰ্ব্বভূত গুণ বিশিষ্ট আমাকে যে দেখিতেছি এ মায়ার সৃষ্টি আমি করিয়াছি কিন্তু এরূপ আমাকে যথার্থ জানিবে না । অধ্যাত্ম রামায়ণ ( পশ্যামি রাম তব কপমরূপিণোপি মায়াবিড়ম্বনীকৃতং সুমনুষ্যবেশং ) হে রাম রূপহীন যে তুমি তোমার যে এই সুন্দর মনুষ্য বেশ দেখিতেছি সে কেবল মায়া বিড়ম্বনাতে কৃত হয়। দেবী মাহাত্ম্য (বিষ্ণু শরীরগ্ৰহণামহমীশান এবচ। কারিতান্তে