পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NO8b- রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী রণা করিবেন, অদ্যাবধি এমত কলপ কোথায় জন্মিয়াছে যে একবার গ্রহণে কেশের শুক্লতা কি সপক্ষ কি বিপক্ষ কাহারও প্ৰত্যক্ষ না হয় ? কলপ দিবার দুই তিন দিবস পরে কেশ বৃদ্ধি হইবার দ্বারা তাহার মূলের শুক্লতা সপক্ষ বিপক্ষ সকলোরি প্রত্যক্ষ হয়। আর এই পৃষ্ঠের শেষে ধৰ্ম্মসংহারকা বুঝি স্বপ্নে দেখিয়া লিখিয়াছেন যে অস্মাদাদির মধ্যে কোনো কোনো ব্যক্তি কৃত্ৰিম দন্ত ও মেষের স্থায় বক্ষঃস্থলের লোম মুণ্ডন ও সমুদায় মস্তকের মুণ্ডন করিয়া থাকেন, এ উন্মত্ত প্ৰলাপের কি উত্তর আছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্মদা দিব মধ্যে বাদ্ধক্যের প্রত্যক্ষ ভয়ে এরূপ করিয়া থাকেন, যাহা আমরা জ্ঞাত নহি, তবে কি ধৰ্ম্মসংহারকেরই তুল্য এতদংশে হইবেন। ১৬৪ পৃষ্ঠে ১১ পংক্তিতে লিখেন ধোঁ। ( যদি প্ৰধান ভক্তি তত্ত্বজ্ঞানির মানিত হাইমা কোনো কোনো ক্ষুদ্র ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী মিথ্যা বাণী কহোন যে ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাঙ্ক্ষিদিগের মধ্যে ও কোনো কোনো ব্যক্তিকে জীবনী গমনাদি বা বিতে আমরা দর্শন করিয়াছি, তবে সেই সেই সাক্ষির প্রামাণ্য কি ৰূপে চাইতে পারে, যেহেতু শাস্ত্ৰে তাদৃশ দুষ্ট ব্যক্তিদিগের অসাক্ষিত্ব কহিতেছেন)। উত্তর -প্ৰামাণ্য ভয়ে সাক্ষকে দুষ্ট কহ কেবল ধৰ্ম্মসংহারকেরই বিশেষ স্বভাব হয়। এমত নহে, কিন্তু সামান্যত চোর ও ব্যভিচারী তত্তদোষ প্ৰমাণ হইবার সময়ে সাক্ষিকে দুষ্ট ও অপ্ৰমাণ কহিয়াই থাকে, বরঞ্চ গ্রামের সকল লোককে আপনি বিপক্ষ কহিয়া নিস্তারের পথ অন্বেষণ করে, কিন্তু চোর দুরাচার জগতের মুখ রুদ্ধ করিয়া অস্বীকার বলে কবে নিস্তার পাইয়াছে। ১৬৭ পৃষ্ঠে ১৬ পংক্তিতে ধৰ্ম্মসংহারক লিখেন যে “প্ৰয়াগাদি সপ্ত, আর প্রায়শ্চিত্ত চুড়া এই নয় প্রকার কেশ ছেদের নিমিত্ত হয় তাহার কোন নিমিত্ত প্ৰযুক্ত যে কেশ ছেদ তাহার নাম নৈমিত্তিক কেশ ছেদ” পরে ১৬৮ পৃষ্ঠে ৪ পংক্তিতে এই বচন লিখেন “প্ৰয়াগে