পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । NOG 9 শত শত বার ধৌত করিলেও সুরাভাণ্ড অশুচি থাকে” অত্যদ্ভুত এই যে ঐ প্রত্যুত্তরের ৬৯ পৃষ্ঠে ৬ পংক্তিতে ধৰ্ম্মসংহারক লিখিয়াছেন যে “যদ্যপি বৈষ্ণবাদি পঞ্চে পাসক আপন আপন উপাসনার সর্ব অনুষ্ঠান করিতে অশক্ত হয়েন তথাপি পাপক্ষয় ও মোক্ষ প্ৰাপ্তি তাহাদিগের অনায়াস লভ্য যেহেতু বিষ্ণু প্ৰভৃতি পঞ্চ দেবতার নাম মাত্ৰেই সৰ্ব্ব পাপক্ষয় অন্তে মোক্ষ প্ৰাপ্তি হয়।” দেবতার উপাসনা বিষয়ে বিশেষ বিশেষ প্ৰায়শ্চিত্ত ব্যতিরেকে ও কেবল তীহাদের নাম স্মরণ মাত্ৰেই পাপক্ষয় ও মোক্ষ প্ৰাপ্তি হয়। ইহাকে স্তুতিবাদ না কহিযা ধৰ্ম্মসংহাবক যথার্থ স্বীকার করেন, কিন্তু জ্ঞান সাধনে কোন পাপ উপস্থিত হইলে তৎক্ষযি বিষয়ে শত শত বচন থাকিলেও ধৰ্ম্মসংহারক। তাহার অন্যথার জন্যে এই প্রকার চেষ্টা সকল করেন যে “ অন্তর্গত দুষ্ট যে চিত্ত তাহা তীর্থস্নান করিলে ও শুদ্ধ হয় না।” “দুষ্ট চিওঁ লোকেরা প্ৰায়শ্চিত্তের দ্বারা শুদ্ধ তয় না এবং দুষ্টাশয় দাম্ভিক ও অবশেন্দ্ৰিয় মনুষ্যকে কি তীৰ্থ কি দান কি ব্ৰত কি কোন আশ্রম কেহ। পবিত্র করেন না”। উত্তর ।--এসকল ব্ৰহ্ম পুরাণীয় বচনকে নিন্দার্থবাদ না কহিয়া যদি দুষ্ট চিত্ত প্ৰভৃতির পাপকে বীজ লেপ ৰূপে ধৰ্ম্মসংহারক স্বীকার করেন, তবে তাঙ্গারই মতে দুষ্ট চিত্ত ব্যক্তি সকলের কি নাম স্মরণে কি আত্ম চিন্তানে এ দুয়ের একে ও তুল্যরূপে নিস্তারা ভাব। ১৭৮ পৃষ্ঠে ( ক্রিয়াহীনন্ত মূৰ্গন্ত মহারোগিণ এব চ।। যথেষ্টাচরণস্তাহমরণান্তমশৌচকং) এই বচন লিখিয়াছেন। উত্তর -এবাচন অবলম্বন করিয়া স্ব স্ব ধৰ্ম্মানুষ্ঠায়িকে, ও সার্থ গায় শ্ৰী বেত্তাকে, ও সুস্থ শরীরকে, শাস্ত্ৰ বিহিত আচরণ বিশিষ্টকে, ক্রিয়াহীন, মৃৰ্থ, মহারোগী, যথেষ্টাচারী, কহিতে সকলেই দ্বেষ প্ৰযুক্ত সমর্থ হয়। কিন্তু পরমেশ্বর যেন আমাদিগ্যে দ্বেষান্ধ না করেন। ১৭১ পৃষ্ঠের শেষ পংক্তি অবধি লিখেন যে ( পণ্ডিতাভিমানি মহাশয় অন্য দুই বচন লিখিয়াছেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে অন্নদানে সুবর্ণাদি SO