পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WVo রামমোহন दू0 গ্রন্থাবলী বিষ্ণু প্ৰভৃতি হইতে শক্তির প্রাধান্য বর্ণন ও তদ্ধৰ্ম্মের সর্বোত্তমত্ব কথন শক্তির স্তুতি সুচক হয়, নির্বাণ তন্ত্রে ( গোলোকাধিপতির্দেবি স্তুতিভক্তিপরায়ণঃ । কালীপদ প্ৰসাদেন সোহভবল্লোকপালকঃ ) অর্থাৎ গোলোকের অধিপতি যে কৃষ্ণ তিনি স্মৃতি ভক্তি পরাষণ হইয়া কালীপদ প্ৰসাদের দ্বারা লোক পালক হয়েন । এই সকল স্থলে এরূপ কথনের দ্বারা কোনো দেবতার লঘুত্ব অথবা অন্য হইতে র্তাহার ঈশ্ববত্ব প্ৰাপ্তি এমত তাৎপৰ্য্য নহে, অন্যথা প্ৰত্যেক বৰ্ণনাকে স্তুতিপর স্বীকার না করিয়া যথার্থ অঙ্গীকার করিলে পরস্পর স্পষ্ট বিরোধোক্তির দ্বারা কোনো শাস্ত্রের প্রামাণ্য থাকে না। প্রায় ব্ৰত মাত্রেই কহেন যে এৱত সকল ব্রতের উত্তম হয় তাহাতে সেই ব্রতের স্তুতিই তাৎপৰ্য্য হয় অন্য ব্ৰতের লঘুত্ব তাৎপৰ্য্য নহে, বরঞ্চ ধৰ্ম্মসংহারক। আপনিই প্ৰথমত আপন প্ৰত্যুত্তরের ২১৩ পৃষ্ঠে শ্ৰীভাগবতেব ও ব্ৰহ্ম বৈবৰ্ত্তের বচন লিখিয়াছেন, যাহার সংক্ষেপ অর্থ এই যে, সকল পবাণের মধ্যে শ্ৰীভাগবত শ্রেষ্ঠ তয়েন এবং সকল পুরাণের মধ্যে ব্ৰহ্মবৈদািৰ্ত্ত শ্রেষ্ঠ হলেন এদুইয়ের পরস্পর বিরোধের মীমাংসা আপনিই পুনরায় এই রূপে ২১৫ পুষ্ঠে ৮ পংক্তিতে করেন ( যে শ্ৰীভাগবতাদির শ্লোকে কেবল তত্তৎ গ্রন্থের উত্তমতী কহিতেছেন। অতএব তত্তদগন্থে লোকের শ্রদ্ধতিশয়ার্থ তত্ত্যুৎ বচনকে তত্তৎ গ্রন্থের স্তাবক কথা যায় একের স্তুতিবাদে অন্যের নিন্দ কুত্ৰাপি কেহ কহিবেন না ) বিশেষত ধৰ্ম্মসংহারকের লিখিত পশুভাবের প্রশস্ত্য বোধক বচনে কলিতে বীরভাব নাই এই প্ৰাপ্ত হয়, আর বীরভাবের প্রশস্ত্য বোধক বচন যাহা আমরা লিখিয়াছি তাহাতে স্পষ্ট লিখেন যে কলিযুগে জম্বুদ্বীপে বীরভাব ব্ৰাহ্মণের অবশ্য কৰ্ত্তব্য অতএব উভয় বচনের এক বাক্যতা করিবার উপায়ান্তরও আছে যে কলিযুগে বীরভাব সামান্যত প্রশস্ত নহে। ইহা ঐ সিদ্ধ লহরী বচনে লিখেন কোনো দ্বীপের বিশেষ করেন না, আর কামাখ্যা