পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\OVV) রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । উপাসনা ভেদে কহিয়াছেন ও যে যে স্থানে বিধি আছে তাহাও মন্ত্র বিশেষে ও দেবতা বিশেষে অঙ্গীকার করেন, তথাচ কুলাৰ্চন দীপিকা (নম্বাহো তহিঁ আগমোক্তবিধানেন পঞ্চতন্ত্ৰেন কলাবখিলদেবতা পূজনীয়েতাযাতি-অতো দেবীপুরাণে চীনতন্ত্ৰেকুলাবাল্যাঞ্চাহ, মহাভৈরবকালোয়ং শিবম্ভ বামনায়কঃশ্মশানভৈরবী কালী উগ্ৰতারােচ পঞ্চম) ইত্যাদি। অর্থাৎ পঞ্চতত্ত্বের দ্বারা দেবতা পূজা আবশ্যক তয় ইহা কহিয়া পশ্চাৎ সিদ্ধান্ত করেন যে কলিতে তত্ত্ব দ্রব্যের দ্বারা সকল দেবতার পূজা প্ৰাপ্ত হইল, এমত নহে। কিন্তু দেবীপুরাণ চীন তন্ত্র কুলাবলী তন্ত্রে কহিয়াছেন যে মহাদেবের মহাকাল ভৈরব মূৰ্ত্তির উপাসনায় এবং শ্মশান ভৈরবী ও মহা বিদ্যাদির উপাসনায় তত্ত্বের অনুষ্ঠান কৰ্ত্তব্য হয়, এই রূপ বিবরণ করেন। সময়তন্ত্রে (যে ভাবাযস্ত বৈ প্রোক্তাস্তৈৰ্ভবৈর্যাদি নাৰ্চয়েৎ। বিবৰ্দ্ধভাবমাশ্ৰিত্য ভ্ৰষ্টেভবতি সাধক: ) যে দেবতার যে ভাব বিহিত হঈয়াছে সে ভাবে তাঁহার অৰ্চনা না করিয়া যদি তাহার বিরুদ্ধ ভাব আশ্রয় করে তবে সে সাধক ভ্ৰষ্ট হয়। তথাচ ( অধিকাবিবিশেষেণ শ স্বাণুক্তোন্যশেষত: ) অধিকারি বিশেষে নানা শাস্ত্ৰ কথিত হইয়াছেন । দেবতা বিশেষে “.ধিকার বিশেষে ও সংস্কার ভেদে তত্ত্ব গ্রহণের কৰ্ত্তব্যতা ও অকৰ্ত্তব্যত্ব স্বীকার না করিয়া উভয় পক্ষের লিখিত বচন সকলের পরস্পর অনৈক্য বোধ করিয়া তাহার মীমাংসা নিমিত্ত ধৰ্ম্মসংহারক ২• • পৃষ্ঠে ৮ পংক্তি অবধি লিখেন যে (ভাক্ত বামাচারির কুলাৰ্ণবাদি তন্ত্রের বচনে কলিযুগেও ব্রাহ্মণের মদ্যপানে বিধি দেখিতেছি, আব্ব ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাঙ্ক্ষির লিখিত মন্বাদি স্মৃতি পুরাণ ও তন্ত্রান্তর এই সকল শাস্ত্রে কলি অন্য শাস্ত্রের অপ্রামাণ্য অবশ্যই কহিতে হইবেক ) পরে এই ব্যবস্থাকে দূর করিবার উদ্দেশে ১৬ পংক্তি অবধি স্মৰ্ত্তধৃত কুৰ্ম্মপুরাণীয় বচন লিখেন ( যানি