পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৭৪

©ዓ8 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । ন্যশেষতঃ । স্বেস্ত্ৰেহধিকারে দেবেশি সিদ্ধিং বিন্দতি মানব: ) অর্থাৎ নানা আখ্যানযুক্ত অনেক প্রকার তন্ত্র কহিয়াছি, সিদ্ধ ও সাধকের নানা প্রকার বিধান কহিয়াছি—যে যে সময়ে যাহার যাহার দ্বারা যে যে রূপ প্রশ্ন হইয়াছিল তখন তাহার উপকারের নিমিত্ত তদনুরূপ শাস্ত্ৰ কহিয়াছি—অধিকার ভেদে নানাবিধ শাস্ত্ৰ কহা গিয়াছে আপনি আপন অধিকারে মনুষ্য সকল সিদ্ধি প্ৰাপ্ত হয়েন ৷ এখন জিজ্ঞাস্য এই হইতে পারে যে ধৰ্ম্মসংহারকের ব্যবস্থা মান্য হইয়া কি সকল শাস্ত্ৰ উচ্ছন্ন হইবেক ? কি ভগবান মহেশ্বরের আজ্ঞা শিরোধাৰ্য হইয়া শাস্ত্ৰ সকল রক্ষা পাইবেক ? ৷ ২১২ পৃষ্ঠে ১৪ পংক্তিতে কুলাৰ্ণবাদি তন্ত্রের অমূলকত্ব স্থাপনের উদ্দেশে ধৰ্ম্মসংহারক লিখেন যে ( সমূলক ও অমূলক স্মৃতি পুরাণাদির পরস্পর বিরোধে অমূলকই ত্যাজ্য হয়”। উত্তর } —কৃম্ম পুরাণ বচন রচনাকে আমরা পতাক্ষ দেখিতেছি ও কেবল কুলধৰ্ম্ম বিধায়ক তন্ত্রের প্রকাশ সময়ে আমরা বিদ্যমান ছিলাম না। এমৎ নহে, বস্তুত এদুইয়ের এক ও প্ৰত্যক্ষ সিদ্ধ নহে, সি সন্তু কি পুরা। কি তন্ত্র উভয়ের প্রমাণ্যের কারণ পরম্পরা ও পূর্ব পূর্ব আচাৰ্য্য ৫. সংগ্ৰহকারেদের বাক্য হইয়াছেন। অতএব উভয়ের তুল্য প্রমাণ থাকিতে পুরাণের সমূলকত্ব ও এই সকল তন্ত্রের অমূলকত্ব কথন ধৰ্ম্মসংখাদক হইতেই হয়। ঐ পৃষ্টের ১৭ পংক্তি অবধি লিখেন যে “শ্রুতি স্মৃতির বিরোধে স্মৃতির অমান্যতায় কি শ্রীতির অমান্যতা হয়, মনু স্মৃতি ও অন্য স্মৃতির বিরোধে অন্ত স্মৃতির অমান্যতায় মনু স্মৃতির অমান্যতা কি হয়”। উত্তর।—শাস্ত্রে দৃষ্ট হইতেছে যে শ্রুতি স্মৃতি বিরোধে শ্রুতির মান্যতা এবং মনু স্মৃতি ও অন্য স্মৃতির বিরোধে মনু স্মৃতির মান্তত হয়, সুতরাং তুন্নুরূপ ব্যবহার হইয়াছে, কিন্তু ইহা কোন শাস্ত্ৰে লিখিত আছে যে পুরাণ ও তন্ত্র শাস্ত্ৰে বিরোধ হইলে পুরাণই মান্য হইবেন ? অথবা পুরাণে লিখিত যে মহেশ্বরোক্তি তাহা তন্ত্র