পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N9)o রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । আর অগ্নিৰ্বাগভৃত্বা মুখং প্ৰাবিশ্বৎ অর্থাৎ অগ্নি বাক্য হইয়া মুখে প্রবেশ করিলেন ঐ দেবতা শব্দের বিশেষণের দ্বারা আর অগ্নির গতির দ্বারা এখানে অভিমানী দেবতা তাৎপৰ্য্য হয়৷ ৫ ৷৷ দৃশ্যতে তু৷ ৬ ৷ এখানে তু শব্দ পূর্ব দুই সুত্রের সন্দেহের সিদ্ধান্তের জ্ঞাপক হয়। সচেতন পুরুষের অচেতন স্বরূপ নাখাদির উৎপত্তি যেমন দেখিতেছি সেইরূপ অচেতন জগতের চৈতন্য স্বরূপ ব্ৰহ্ম হইতে উৎপত্তি হয় এবং ব্ৰহ্মা জগতের উপাদান কারণ হয়েন ৷৷ ৬ ৷ অসদিতি চেন্ন প্ৰতিষেধমাত্ৰত্বাৎ ৷৷ ৭ ৷৷ সৃষ্টির আদিতে জগৎ অসৎ ছিল সেইরূপ অসৎ জগৎ সৃষ্টি সময়ে উৎপন্ন হইল। এমত নহে যেহেতু সতের প্রতিষেধ অর্থাৎ বিপরীত অসৎ তাহার সম্ভাবনা কোন মতেই হয় নাই। অতএব অসন্তের আভাস শব্দমাত্রে কেবল উপলব্ধি হয় বস্তুত নাই। যেমন খপুষ্পের আভাস শব্দমাত্রে হয় বস্তুত নয় ৷ ৭ ৷ অ'পীতে তদ্বৎ প্ৰসঙ্গাব্দসমঞ্জসং (, ৮ । জগতের উপাদান কারণ ব্ৰহ্মকে কহিলে যুক্ত হয় নাই যেহেতু অপীতি অর্থাৎ প্রলয়ে জগৎ ব্ৰহ্মতে লীন হইলে যেমন তিক্তাদি সংযোগে দুগ্ধ তিক্ত হয়। সেইরূপ জগতের সংযোগে ব্ৰহ্মেতে জগতের জড়তা গুণের প্রসঙ্গ উপস্থিত হয় । এই সুত্ৰে সন্দেহ করিয়া পরসূত্রে নিবারণ করিতেছেন ৷ ৮ ৷৷ ন তু দৃষ্টান্তভাবাৎ ৷৷ ৯ ৷ তু শব্দ এখানে সিদ্ধান্ত নিমিত্ত হয়। যেমন মৃত্তিকার ঘট মৃত্তিকাতে লীন হইলে মৃত্তিকার দোষ জন্মাইতে পারে নাই এই দৃষ্টান্ত দ্বারা জানা যাইতেছে যে জড় জগৎ “প্ৰলয় কালে ব্রহ্মেতে লীন হইলেও ব্রহ্মের জড় দোষ জন্মাইতে পারে নাই ॥ ৯ ॥৪ স্বপক্ষেইদোষাচ্চ ৷৷ ১০ ৷ প্ৰধানকে জগতের কারণ কহিলে যে যে দোষ পুর্বে কহিয়াছ সেই সকল দোষ স্বপক্ষে অর্থাৎ ব্ৰহ্মপক্ষে হইতে পারে নাই অতএব • এই পক্ষ যুক্ত হয় “৷ ১০ ॥৫ তর্ক প্রতিষ্ঠানাদাপ্যন্তথানুমেয়মিতি চেদেবমপ্যানিৰ্ম্মোক্ষাপ্রসঙ্গঃ৭৷৷১১৷ তর্ক কেবল বুদ্ধি সাধ্য এই হেতু তাহার