পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । NObrNO ১৯ পংক্তি অবধি ৩৫৫ পৃষ্ঠ পৰ্যন্ত বিবরণ পূর্বক লিখিয়াছি তাহাতে যেন পণ্ডিতেরা দৃষ্টি করিবেন, অতএব সর্বনিয়ন্তার আজ্ঞানুসারে অনুষ্ঠান করিলে কদাপি পাপ স্পর্শ ও যম তাড়না হইতে পারে না, যেহেতু ভগবান কন্দ্র যমেরও যম হয়েন । ১২৪ পৃষ্ঠে ১৭ পংক্তি অবধি লিখেন যে (লোকের বিদ্ধিষ্ট যে কৰ্ম্ম তাহা শাস্ত্রীয় হইলেও স্বর্গের বিরোধি হয় তাহ বিশিষ্ট লোকের আচরণীয় নহে এই মনু বচনে যে কৰ্ম্ম লোকের দ্বেষ্য হয় সে অবশ্যই নরকের কারণঅতএব শৈব বিবাহ যথার্থ হইলেও সজ্জনদিগের কদাচ কৰ্ত্তব্য নহে )। উত্তর -কেবল বিশিষ্ট লোকের দ্বেষ্য ও প্রিয় এই বিবেচনায় ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম স্থির করাতে যে আপত্তি ও যে যে দোষ হয় তাহা বিশেষ রূপে এই দ্বিতীয় উত্তরের চতুর্থ পরিচ্ছেদে ৩২০ পৃষ্ঠ অবধি ৩২৯পূষ্ঠ পৰ্যন্ত লিখা গিয়াছে, বিজ্ঞ ব্যক্তিরা তাহ অবলোকন করিয়া ইহার সিদ্ধান্ত করিবেন। ; বস্তুত তঁতি, শুড়ি, সুবৰ্ণ বণিক ও কৈবৰ্ত্ত এবং কতিপয় বিশিষ্ট লোক ঐ সকল তন্ত্রকে এবং তদ্ভুক্ত অনুষ্ঠানকে যদিও দ্বেষ করিয়া থাকেন। কিন্তু ব্ৰাহ্মণ, বৈদ্য, কায়স্থাদি ভূরি বিশিষ্টেরা ঐ মহেশ্বর শাস্ত্ৰকে পরম পুরুষাৰ্থ সাধন ও অতি প্রিয় জ্ঞান করিয়া স্ব স্ব অধিকারে তাহার অনুষ্ঠান করেন, অতএব তন্ত্রোক্ত ধৰ্ম্ম সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ‘দ্বেষ্য কি হইবেন, সৰ্ব্বথা। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিশিষ্ট রূপে মান্যই হইয়াছেন । ধৰ্ম্মসংহারক। ২২৪ পৃষ্ঠে ১১ পংক্তি অবধি নবীন এক প্রশ্ন করেন যে ( এস্থানে শৈব বিবাহের ব্যবস্থাপক মহাশয়কে এই ব্যবস্থা জিজ্ঞাসা করি যে র্যাহারা জীবনী গমনে ও বেশ্য সেবনে সর্বদা রত তাহদের স্ত্রীও বিধবা তুল্য, যদি তাহারা সপিণ্ড না হয় তবে ঐ সকল স্ত্রীকে শৈব বিবাহ করা যায় কি না ) । উত্তর -স্মৃতি ও তন্ত্র উভয় শাস্ত্ৰানুসারে স্বাস্ত্রী বঞ্চক পুরুষ সৰ্ব্বথা পাপী হয়েন, কিন্তু ভর্তা বর্তমানে স্ত্রীর বৈধব্য, কি