পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মণ সেবধি । 8 V-O তবে সর্বাংশে দৃষ্টান্ত হইলে ঈশ্বরকে জল পুঞ্জের ন্যায় জড় স্বীকার করিতে হয় ও জগৎকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলীয়াংশ স্বরূপ তাহার বিকার মানিতে হয় কখন কখন ঐ জগৎ ঈশ্বরের বহিস্তনের উপরে ফিরিবেক ও কখন কখন তাহার সহিত একত্র হয়। র্যাহাঁদের কেবল দোষ rষ্টি তাহারাই এরূপ সৰ্ব্বাংশ দৃষ্টান্ত মানিয়া মায়ার বল আত্মার উপর হইতেছে এই দোষ দিতে উৎসুক নতুবা ঈশ্বরের শক্তি মায় তাহার দ্বারা জগতের উৎপত্তি স্থিতি লয় হইতেছে। ইহাতে ঈশ্বরের উপর মায়ার বল কোনো পক্ষপাত রহিত বিজ্ঞ লোক স্বীকার করিবেন না যেহেতু যে কোনো জাতীয় ও দেশীয় ব্যক্তি ঈশ্বরকে জগতের স্রষ্টা কহেন তাহারা সকলে মানেন যে সৃষ্টি করিবার শক্তি ঈশ্বরে আছে সেই শক্তি দ্বারা সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেই শক্তির বল ঈশ্বরের উপর হয় এমৎ তাহারদের কেহ অদ্যপি দেখিতে পান না । পাপী ব্যক্তি মনস্তাপ করিলে ঈশ্বর করুণা শক্তি দ্বারা মাৰ্জনা করেন। ইহাতে করুণাশক্তি ঈশ্বরের উপর প্রবল হয় এমৎ নহে। বেদান্তবাদির মায়াকে অজ্ঞান কহেন যেহেতু জ্ঞান হইলে মায়ার কার্য্য যাহার দ্বারা ঈশ্বর হইতে জীব সকল পৃথক দেখায় সে কাৰ্য্য। আর থাকে না। অর্থাৎ জ্ঞানের দ্বারা নিবৃত্ত হয়। মায়া শব্দের প্রয়োগ মুখ্য রূপে ঈশ্বরের জগৎ কারণ শক্তিতে ও গৌণ রূপে ঐ শক্তির কাৰ্য্যেতে হয়। রজ্জ্বতে যে সৰ্প ভ্ৰম হয় তাহার সহিত জগতের দুষ্টান্ত বেদান্তে দেন। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে ভ্ৰম সৰ্পের ন্যায় জগতের স্বতন্ত্র সত্তা নাই পরমেশ্বরকে অবলম্বন করিয়া জগৎ সত্তা বিশিষ্ট হয় সেই রূপ জগতকে স্বপ্নের সহিত সাদৃশ্য দেন। যেমন স্বপ্ন দৃষ্ট বস্তু সকল জীবের সত্তার অধীন হয় সেই রূপ জগৎ পরমেশ্বরের সত্তার অধীন। অতএব জীব হইতে ও সকল হইতে প্রিয় পরমাত্মাই সৰ্ব্বথা। इन आंत्र (बाल्ड वेब डिनबुद्ध नाहे क्षेत्रंब जक्या ७ छेश्वंद्र गरकाठाऊ ইহা কহেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে যথার্থ সত্তা কেবল পরমেশ্বরের হয়