পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪৬৫

ব্ৰাহ্মণ সেবধি । 8 NoG ন্যায় শাস্ত্ৰে দোষ দেন যে ঈশ্বর এক ও জীব নানা দুই অবিনাশী ইহা ন্যায় শাস্ত্ৰে কহেন আর দিক কাল আকাশ অণু ইহারা নিত্য ও সমবায় সম্বন্ধে কৃতি ঈশ্বরে আছে জীবের কৰ্ম্মানুসারে ফলদাতা এবং নিত্য ইচ্ছা বিশিষ্ট ঈশ্বর হয়েন ইহাতে ঈশ্বরের কৃতিতে ব্যাঘাত হয়। কেন না তেঁহ অন্মদাদির ন্যায় দ্রব্য সংযোগে কৰ্ত্ত হইলেন । উত্তর-ঈশ্বরবাদি যেমন নৈয়ায়িক ও খিষ্টান সকলেই কহেন যে ঈশ্বর নশ্বর নহেন এবং জীবের নাশ নাই জীব চিরকাল ব্যাপিয়া জ্ঞান ফল অথবা কৰ্ম্ম ফলকে প্ৰাপ্ত হয়েন সেই রূপ ঈশ্বরকে ফলদাতা উভয় মতেই অৰ্থাৎ নৈয়ায়িক খিষ্টানেরাই কহেন এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা নিত্য ইহাও উভয় মতে স্বীকার করেন। অতএব এ মতকে গ্ৰহণ করিলে যদি দোষ হয় তবে উভয় মতেই সমান দোষ স্পর্শিবেক । বস্তু সকল পৃথক পৃথক কালে উৎপন্ন হইলে ইচ্ছার নিত্যত্বে দোষ পড়েনা যেহেতু পরমেশ্বর কালাতীত বস্তু সকল কালিক যে কালে যাহার উৎপত্তি তাহার নিত্যেচ্ছায় হয়। সেই কালে সেই বস্তু উৎপন্ন হইয়া থাকে ইহাতে র্তাহার ইচ্ছার নিত্যতায় কোনো ব্যাঘাত জন্মোন । ক্রিয়া ও গুণের সহিত কৰ্ত্তার সম্বন্ধকে সমবায় কহেন সেই সম্বন্ধে জগৎ কর্তৃত্ব জগৎ কর্তা যে ঈশ্বর র্তাহাতে আছে ইহাও সকল মত সিদ্ধ কর্তৃত্ব না থাকিলে কর্তা শব্দ প্রয়োগ হয় না। আর দিককাল আকাশের অসম্বলিত কি ঈশ্বর কি অন্য কোনো পদার্থকে মনেও ভাবা যায় না। অতএব দিককাল আকাশের অভাব স্বীকার করিলে কোনো বস্তুর প্রমাণ হইতে পারে না । ঈশ্বরকে খ্ৰীষ্টানেরা ও নৈয়ায়িকেরা উভয়েই নিত্য কহেন অর্থাৎ যাবৎ কাল ব্যাপিয়া আছেন। অতএব, সেই নিত্যকাল না থাকিলে ঈশ্বর নিত্য হয়েন সুন অথবা নিত্য শব্দের অর্থ এই যে প্রথম ও অন্ত নাই এ অর্থ যেমন ঈশ্বরে সম্ভবে সেই রূপ কালেও সম্ভবে ও ঈশ্বরের নিত্যত্ব জ্ঞান কালের Vo