পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ዓ e রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । বিশিষ্টের বিভুত্ব কোনো মতে সম্ভবে না তৃতীয়ত ঐ শাস্ত্ৰে কহেন ঈশ্বর নাম রূপ বিশিষ্ট কিন্তু প্ৰবঞ্চ চক্ষুর দ্বারা জীব দেখিতে পায় না। এ বিধানে নাম রূপ কি প্রকারে মানিতে পারি। উত্তর-পুরাণাদি শাস্ত্ৰে সৰ্ব্বথা ঈশ্বরকে বেদান্তানুসারে অতীন্দ্ৰিয় আকার রহিত কহেন পুরাণে অধিক এই যে মন্দ বুদ্ধি লোক অতীন্দ্ৰিয় নিরাকার পরমেশ্বরকে অবলম্বন করিতে অসমর্থ হইয়া সম্যক প্রকারে পরমার্থ সাধন বিনা জন্ম ক্ষেপ করিবেক কিম্বা দুষ্কৰ্ম্মে প্ৰবৰ্ত্ত হইবেক অতএব নিরবলম্বন হইতে ও দুষ্কৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্ত করিবার নিমিত্ত ঈশ্বরকে মনুষ্যাদি আকারে ও যে যে চেষ্টা মনুষ্যাদির সর্বদা গ্ৰহ হয় তদ্বিশিষ্ট করিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন যাতাতে তাহদের ঈশ্বর উদ্দেশ হয় পরে পরে যত্ন করিলে যথার্থ জ্ঞানের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বারংবার ঐ পুরাণাদি সাবধান পূর্বক কহিয়াছেন যে এ সকল রূপাদি। বর্ণন কেবল কল্পনা করিয়া মন্দ বুদ্ধির নিমিত্ত লিখিলাম বস্তুত পরমেশ্বর নাম রূপ হীন ও ইন্দ্ৰয় গ্ৰাম বিষয় ভোগ রহিত হয়েন। মাণ্ডুক্য ভাষ্যধূত বচন । নিৰ্বিশেষং “ল ব্ৰহ্ম সাক্ষাৎ কৰ্ত্তমনীশ্বরীঃ । যে মন্দাস্তেহানুল্পকন্তে সবিশেষনিরূপণৈঃ । স্মাৰ্ত্তধৃতযমদগ্নিবাচন। চিন্ময়স্তাদ্বিতীয়স্য নিষ্কলন্তাশারীরিণঃ । উপাসকানাং কাৰ্য্যাৰ্থং ব্ৰহ্মণো রূপকল্পনা । মহানির্বাণতন্ত্রে । এবং গুণানুসারেণ রূপাণি বিবিধানিচ । কল্পিতানি হিতার্থীয় ভক্তানামল্পমেধসাং । কিন্তু ইহা বিশেষ রূপে জানা কৰ্ত্তব্য যে তন্ত্র শাস্ত্রের অন্ত নাই সেই রূপ মহাপুরাণ ও পুরাণ ও উপপুরাণ এবং রামায়ণাদি গ্ৰস্থ অতি বিস্তার এ নিমিত্ত শিষ্ট পরম্পরা নিয়ম এই যে যে পুরাণ ও তন্ত্রাদির টীকা আছে ও যে যে পুরাণাদির বচন মহাজন ধৃত হয় তাহারি প্ৰামাণ্য অন্যথা পুরাণের অথবা তন্ত্রের নাম করিয়া বচন কহিলে প্ৰামাণ্য হয় এমৎ নহে অনেক পুরাণ ও তন্ত্ৰাদি যাহার টীকা নাই ও সংগ্ৰহকারের