পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাহ্মণ সেবধি । 8ԳՀ) আরাধনা করিবেক” অধিকন্তু আপনি লিখেন যে বায়বেলে কহেন “পিতা ও পুত্র ও হোলিগোষ্টি তুল্য রূপে প্ৰসন্নতা ও স্বচ্ছন্দত মনুষ্যকে দেন ও তুল্য রূপে মনুষ্যের অপরাধ ক্ষমা করেন” কিন্তু যাহা আমি জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম যে ইহা যুক্তিসিদ্ধ কিরূপে হয় তাহার ছন্দাংশে নাগিয়া বরঞ্চ স্বীকার করিয়াছেন যে ইহাতে কোনো যুক্তি নাই এবং অযুক্তি সিদ্ধ ত্রুটি বায়বেলে নিক্ষেপ করিয়াছেন যেহেতু কহেন যে “বায়বেল যদ্যপিও এসকল বৃত্তান্ত স্পষ্ট কহিয়াছেন তথাপি আমাদিগ্যে জানান নাই যে কিরূপে পিতা ও পুত্র ও হেলিগোষ্টি স্থিতি করেন ও কিরূপে তিনেতে এক হয়েন” আর আপনি লিখেন যে, “যদ্যপিও বায়বেল আমাদিগ্যে জানাইতেন তথাপি আমাদের নিশ্চয় হয় না যে আমরা বোধগম্য করিতে পারিতাম”। অতএব আপনাকে ও অন্য মিসন রিদিগ্যে বেদান্ত ও অন্য অন্য শাস্ত্ৰে অযুক্তিসিদ্ধ দোষ সমাচার দর্পণে প্ৰকাশ করিবার পূর্বেই বিবেচনা করা উচিত ছিল যে তঁহাদের মূল ধৰ্ম্ম একপ অযুক্তিসিদ্ধ হয় যেহেতু এরূপ বিবেচনা প্রথমে করিলে আপনার মূল ধৰ্ম্ম অযুক্তিসিদ্ধ হয়। ইহা স্বীকার করিবার মনস্তাপ পাইতেন না । তথাপি আপনি ঐ মত যাহা সৰ্ব্বথা যুক্তির এবং প্রমাণের বিরুদ্ধ হয় তাহাতে লোকের নিষ্ঠা জন্মাইবার নিমিত্ত লিখিয়াছেন যে “যে সকল বস্তু আমাদের নিকট ও মধ্যে আছে ও যাহার বিশেষ উপলব্ধি আমাদের হয় নাই। অথচ আমরা তাহার সত্তাতে কোনো সন্দেহ করি না। যেমন বৃক্ষের চারা ও বৃক্ষ সকল কি রূপে মৃত্তিক হইতে রস গ্ৰহণ করে ও সেই রস পত্রে ও পুষ্পে ও ফলে প্ৰদান করে ইহার বিশেষ কারণ:না জানিয়াও লোকে বিাস কশ্বরে এবং কিরূপে জীব শরীরের অধ্যক্ষ হয়েন যে আপন ইচ্ছাতে মনুষ্য মস্তকের উপর হস্ত প্ৰদান করে আর কিরূপে এই দেহকে অত্যন্ত শ্রমে নিয়োজিত করে এ সকল বস্তুর কারণ না জানিয়াও বিশ্বাস করা যায় যাহা