পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪৮১

ব্ৰাহ্মণ সেবধি 8b-> প্ৰকার হইত। তবে আমরা বৃক্ষের ন্যায় ও জীব সংক্রান্ত দেহের ন্যায়ও হিম পর্বতের ন্যায় তিন ঈশ্বরে এক ঈশ্বর হওয়াকেও বিশ্বাস করিতাম যদ্যপিও উপলব্ধির বহিৰ্ভত ও উপলব্ধির বিপরীত হয়। অভিপ্ৰায় করি যে খ্রিষ্টানেরা তাহদের বাল্যাবধি শিক্ষা বলেতে স্বীকার করেন যে ঐ তিনি প্ৰত্যক্ষ সিদ্ধ হয়েন যেমন বাঙ্গলাতে তান্ত্রিকের পঞ্চ ব্ৰহ্ম কহোন অথচ ঐ পাচকে এক করিয়া জানেন ও যেমন ইদানীন্তন হিন্দুরা অভ্যাসের দ্বারা অনেক অবতারকে এক ঈশ্বরীরূপে প্ৰায় প্ৰত্যক্ষ সিদ্ধ করিয়া জানেন। খ্রিষ্টানেরা যাহারা যথার্থ রূপে আপন মাজ্জিত বুদ্ধির অভিমান রাখেন তাহাবা কি রূপে এই অনন্বিত সাদৃশ্যকে স্বীকার করেন এবং অন্য অন্যকে ঐকম্প হেত্বাভাসের দ্বারা লোকের ভ্ৰম জন্মাইতে দেন । ইহার কারণ আমার অভিপ্ৰায়ে এই হইতে পারে যে তঁহাদের পণ্ডিতেরা গ্ৰীক ও রোমন গাণ্ডিতদের ন্যায়। এ সকলকে অযথার্থ জানিয়াও লৌকিক নির্বাহের জন্যে অনেকের মতে মত দিয়া থাকেন। আমাদের ইহা দেখিতে খেদ জন্মে যে অনেক খ্রিষ্টানদের বাল্যকালের শিক্ষার দ্বারা অন্তঃকরণ ঐ তিন ঈশ্বরে এক ঈশ্বর হয়েন এমতের পক্ষপাতে এরূপ মগ্ন হইয়াছেন যে তঁাহারা ঐ মতের বিপরীত শুনিলে ইন্দ্ৰিয়ের ও যুক্তির ও পরীক্ষার নিদর্শনকে ত্যাগ করিতে প্ৰস্তুত হয়েন । তাহারা কহিয়া থাকেন। যে ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতেরা আপন মতাবলম্বিদের উপর অতিশয় প্ৰভূতা রাখেন কিন্তু ইহা তাহারা বিস্মৃত হয়েন যে আপনারা কিরূপে আপন পাদরিদের প্ৰাবল্যের মধ্যে আছেন যে এরূপ সাদৃশ্যের ও প্রমাণের দোষ দেখিতে পায়েন না ৷ আপনি প্ৰথম লিখেন যে “বায়বেলে আমাদিগ্যে জানান নাই যে পিতা ও পুত্র ও হেলিগোষ্টি কিরূপে স্থিতি করেন। আর তিন ঈশ্বরে এক ঈশ্বর যিনি হয়েন তিনি আপনার অনন্ত ও সর্বোৎকৃষ্ট স্বভাব দ্বারা কি বিশেষ রূপে স্থিতি ও ক্রিয়া করেন তাহা আমাদিগ্যে জানাইবার নিমিত্ত \OS