পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VbRÑ রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । যে পুরাণে আছে সে তামস এবং গরুড় পুরাণ বলিয়া প্ৰমাণ দিয়াছেন। ইহার উত্তর। তমোলেশরহিত যে মহাদেব তাহার মাহাত্ম্য যে শাস্ত্ৰে থাকে সে শাস্ত্ৰ তামস হয়। ইহা মনু প্ৰভৃতি কোনো শাস্ত্ৰে নাই বিশেষত মহাভারতে লিখেন। যন্নেীহাস্তি ন কুত্ৰচিৎ। যাহা মহাভারতে নাই তাহা কুত্ৰাপি নাই সে মহাভারতে ও শিব মহাত্ম্য যুক্ত গ্ৰন্থকে তামস করিয়া কহেন নাই। বরঞ্চ মহাভারত শিব মাহাত্মাতে পরিপূর্ণ হয় তবে আপনি গরুড় পরাণ বলিয়া যে সকল বচন লিখিয়াছেন। এরূপ বচন কোনো প্ৰসিদ্ধ সংগ্ৰহকারের ধূত নহে । দ্বিতীয়ত মহাভারতীয় দান ধৰ্ম্মে শিবের প্ৰতি বিষ্ণুর বাক্য। নমোস্তু তে শাশ্বতসৰ্ব্বযোনিয়ে ব্রহ্মাধিপঃ স্বামৃষয়ে বদন্তি । তপশ৮ সাল্লঞ্চ রাজস্তমশ্চ ত্বামেব সত্যঞ্চ বিদন্তি সন্তঃ ৷ সৰ্ব্বদা একরূপ সকলের উৎপত্তিকারণ আর ‘বাঙ্গাকে সাধু ঋষিরা ব্ৰহ্মার অধিপতি করিয়া কহেন আবী তপস্যা - সত্ত্বরাজস্তম। এই তিন গুণের সাক্ষী যে তুমি তোমাকে প্ৰণাম করিতেছি । সদাশিবাখ্যা যা মূৰ্ত্তিস্তমোগন্ধবিবর্জিত । সদাশিবাখ্যা মূৰ্নিব তমোলেশ নাই । ইত্যাদি বচনের দ্বারা মহাদেব সৰ্ব্বপ্রকারে তমোরহিত হয়েন ইত্যা প্ৰতিপন্ন হইতেছে। তবে কিৰূপে ঊর্তাহার মাহাত্মা তামস হইতে পারে। অতএব সমূলক এই সকল বচনের দ্বারা পূৰ্ববচনের অমূলকত্ব বোধ হয়। আর মহাদেবের অংশাবতার নানা প্রকার রুদ্র ও ভৈরব হইতে কখন কখন তামস কাৰ্য্য হইয়াছে সে তমো দোষ মহাদেবে কদাপি স্পর্শ হয় না। যেমন বিষ্ণুর বুদ্ধাবতারে বেদনিন্দ জন্য দোষ বুদ্ধতেই আশ্রয় করিয়াছে কিন্তু সে দোষ বিষ্ণুতে স্পর্শ হয় নাই। যদিও গরুড় পুরাণে ঐ সকল বচন যাহাতে শিবের মাহাত্ম্যকে তামস করিয়া লিখেন তাহ পাওয়া যায়। তবে সেই পুরাণের প্রকরণ দেখা উচিত হয় যেহেতু মহাভারত বিরুদ্ধ এবং শিব নিন্দ বোধক যে বচন সে দক্ষযজ্ঞ প্রকরণীয় বাক্য হইবেক অতএব শিব বিষয়ে দক্ষাদির নিন্দ বাক্য ও