পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬২৪

VR8 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । আপন টীকার প্রথমে লিখিতেন না। তৃতীয়ত আপনকার লিখিত গরুড় পুরাণের বচনের দ্বারা ইহা নিম্পন্ন হইয়াছে যে সাক্ষাৎ বেদাৰ্থ যে মহা, ভারত ও বেদার্থ নিৰ্ণায়ক যে বেদান্তসুত্ৰ তাহার অর্থকে শ্ৰীভাগবতে বিবরণ করিয়াছেন আর পুরাণের মাহাত্ম্য কথনে আপনি পূর্বে লিখেন যে পুরাণ সকল সাক্ষাৎ বেদ এবং সাক্ষাৎ বেদার্থকে কহেন ইহাতে আপনকার পূৰ্বাপর বাক্য বিরোধ হয় যেহেতু ইহাতে স্পষ্ট বুঝাইতেছে যে সম্পূর্ণ শ্ৰীভাগবত বেদ এবং বেদের বিবরণ ও পুরাণচক্ৰবৰ্ত্তী না হইয়া বেদার্থ যে মহাভারত ও ব্ৰহ্মসুত্রে তাহার বিবরণ হইলেন। চতুর্থ এ দেশে পুরাণ সকলের প্রায় পরম্পরা প্রচার নাই এবং সুলভ সংস্কৃতে অনায়াসে পুরাণের ন্যায় বচনের রচনা হইতে পারে এই অবসর পাইয়া এতদ্দেশীয় বৈষ্ণবেরা যেমন শ্ৰীভাগবতকে ভাষ্য করিয়া প্ৰমাণ করিবার নিমিত্ত গরুড় পুরাণ বলিয়া বচন রচনা করিয়াছেন আর দুই তিন শত বৎসরের মধ্যে জন্ম র্যাহদের এবং অত্যু দেশে অপ্ৰসিদ্ধ এমৎ নবীন নবীন ব্যক্তিকে অবতার কবিয়া স্থাপন করিবার নিমিত্ত ভবিষ্য ও পদ্মপুরাণ বলিয়া যেমন কল্পিত বচন লিখেন সেইৰূপ কোনো কোনো শাক্ত শ্ৰীভাগবতকে অপ্ৰমাণ করিয়া কালীপুরাণকে ভাগবতরূপে স্থাপন করিবার নিমিত্ত স্কন্দ পুরাণীয় বচনের প্রকাশ করেন। তদযথা । ভগবত্যাঃ কালিকাব্য মাহাত্ম্যং যত্ৰ বৰ্ণাতে। নানাদৈত্যবধোপেতং তদ্বৈ ভাগবতং বিহুঃ । কলীে কেচিদ্দুবাত্মনো ধূৰ্ত্ত বৈষ্ণবমানিনঃ । অন্যােড্রাগবতং নাম কল্পয়িষ্যন্তি মানবাঃ | যে গ্রন্থেতে নানা অসুর বধের সহিত ভগবতী কালিকার মাহাত্ম্য কহিয়াছেন তাহাকে ভাগবত করিয়া জানিবে। কলিযুগে বৈষ্ণবাভিমানী ধূৰ্ত্ত দুরাত্মা লোক সকল ভগবতীর মহাত্ম্যযুক্ত গ্ৰন্থকে ভাগবত না বলিয়া অন্য ভাগবতের কল্পনা করিবেক। অতএব পূর্ব পুৰ্ব্ব গ্ৰন্থকারের অধৃত বচন সকলকে শুনিবা মাত্র যদি পুরাণ করিয়া মান্ত করা যায়। তবে পূর্বের লিখিত বৈষ্ণবের