পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V-98 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । - আছে সে বেদবিরুদ্ধ তর্ক জানিবে কিন্তু বেদসম্মত তর্কের দ্বারা বেদার্থের সৰ্ব্বথা নির্ণয় করা। কৰ্ত্তব্য অতএব শ্রুতি সকল পূর্বে যাহার কিঞ্চিৎ লিখিয়াছি পরমেশ্বরকে অরূপ অদ্বিতীয় অচিন্ত্য অগ্ৰাহ অতীন্দ্ৰিয় সর্বব্যাপি করিয়া কহিয়াছেন আর ব্ৰহ্ম ভিন্ন যাবৎ বস্তুকে অল্প নশ্বর নিরানন্দ করিয়া কহেন। এই অর্থকে মহর্ষি বেদব্যাস প্রভৃতি এবং আচাৰ্য্য প্রভৃতি সকলেই যুক্তি দ্বারা দৃঢ় করিয়াছেন তদনুসারে আমরাও সেই অর্থকে ওই বেদসম্মত তর্কের দ্বারা দৃঢ় করিতেছি। বেদাথকে বেদসম্মত তর্কের দ্বারা দৃঢ় করিবেক ইহার প্রমাণ শ্রুতি। শ্ৰোন্তব্যে মন্তব্য ইত্যাদি। বেদ বাক্যের দ্বারা পরমাত্মাকে শ্রবণ করিয়া যুক্তিদ্বারা নিশ্চিত করিবেক । মনু । আৰ্ষং ধৰ্ম্মোপদেশঞ্চ বেদশাস্ত্ৰাবিরোধিনা । যস্তর্কেণানুসন্ধাত্তে সী ধৰ্ম্মং বেদ নেতরঃ । যে ব্যক্তি বেদ ও স্মৃত্যাদি শাস্ত্রকে বেদসম্মত তর্কের দ্বারা অনুসন্ধান করে সেই ব্যক্তি ধৰ্ম্মকে জানে ইতরে জানে না। বৃহস্পতি । কেবলং শাস্ত্ৰমাশিত ন কৰ্ত্তব্যে বিনির্ণয়ঃ। যুক্তিহীনবিচারেণ ধৰ্ম্মহানিঃ প্ৰজায়তে । কেবল শাস্ত্ৰকে আশ্ৰয় করিয়া অর্থের নিশ্চয় করিবেক না। যেহেতু তর্ক বিনা শাস্ত্রার্থকে নির্ণয় করিলে ধৰ্ম্মের হানি হয়। আপনি ষষ্ঠ পত্রে লিখিয়াছেন যে গোপালতাপনী ও শ্ৰীভাগবত প্ৰভৃতি পুরাণেতে সাকার বিগ্ৰহ কৃষ্ণকে ব্ৰহ্মা করিয়া কহিয়াছেন। অতএব সাকার যে কৃষ্ণ কেবল তেহেঁ সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম হয়েন। ইহার উত্তর । আপনকার এ কথা তবে গ্ৰাহ হইতে পারিত যদি সাকার সকলের মধ্যে কেবল কৃষ্ণকেই ব্ৰহ্ম করিয়া কহিতেন। কিন্তু আপনাবা যেমন গোপালতাপনী শ্রুতি ও ভাগবতকে প্ৰমাণ করিয়া কৃষ্ণকে ব্ৰহ্ম কহেন সেই রূপ শাক্তেরা দেবীসুক্ত ও অন্য অন্য উপনিষৎকে প্ৰমাণ করিয়া কালিকাকে ব্ৰহ্ম করিয়া কহিয়া থাকেন এবং কৈবল্যোপনিষৎ ও শতরুদ্রী ও শিবপুরাণ • প্ৰভৃতি শ্রুতি স্মৃতিতে মহেশ্বরকে ব্ৰহ্ম করিয়া কহেন। এই রূপে ছন্দোগ্য ও বৃহদারণ্যক প্ৰভৃতি